পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gy eff তালিকোটের যুদ্ধ বর্ষ"ণ্ডৈ শবতেৰ প্রারম্ভে দিক্ৰমণ্ডল পরিকৃত এবং ধরাতল সুগম হইলে, দক্ষিণাত্যে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে সমর-দুন্দুভি বাজিয়া উঠিল। তালিকোটের প্রশস্ত শে৯ এ উ৬য় বাহিনী পরস্পর বিজিগীষু श्देशां সম্মুখীন श्ल। आश्श्वन नगंद्र, ‘বন্দৰ, বজাপুর ও গোলকুণ্ডার সোলতানদিগের সৈন্যের সহিত নানাস্থান হইতে দ্ব জাতীয় হিতাভিলাষী ইসলামের গৌরবাকাজকী যুবক যোদ্ধৃগণ আসিয়া যোগদান করিলেন । বীরকুল চূড়ামণি সোলতান হােসেন নিজাম শাহ দেওয়ান মুসলিমবাহিনীর সেনাপতিত্ব গ্রহণ করিলেন। রাজা রাম রায় স্বকীয় সেনাদল পরিচালনার ভাৱ গ্ৰহণ করিলেন । এই ভীষণ সমরোদ্যমে সমগ্ৰ দক্ষিণ-ভারত চঞ্চল হইয়া উঠিল কয়েক দিন পর্যন্ত উভয় বাহিনী পরস্পর আক্রমণোদ্যত হইয়া অবস্থান করিবার পরে, একদা প্ৰত্যুষে একদল হিন্দুসৈন্য মুসলিম বাহিনীর এক অংশ আক্রমণ করিল। এই আক্রমণের ফলে সেইদিন উভয় পক্ষে ভীষণ সমর-ঝটিকা প্রবাহিত হইল। মুসলমান সৈন্য জেহাদের নামে এবং হিন্দু সৈন্য ব্ৰাজ্য-রক্ষা-কল্পে মত্ত হইয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল। হয়, হন্তী এবং বীরপুরষদিগের পদভরে পৃথিবী কম্পিত হইল। তরবারির চাঞ্চল্যে, বর্শার দীপ্তিতে অসংখ্য বিদ্যুদ্রিকাশ হইতে লাগিল! তোপের গর্জনে চতুর্দিক প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। অম্বারোহী, পদাতিক এবং গোলন্দাজ সৈন্যগণ অসাধারণ রণ-কৌশল প্ৰকাশ করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল। সমস্ত দিবসের ভীষণ যুদ্ধেও কোন পক্ষের জয় नद्वा निé]] | ना । এইরূপ ক্রমাগত তিন দিবস ভীষণভাবে সমর চলিল। চতুর্থ দিবস মোসলেম-বাহিনী বিপুল বিক্রমে হিন্দুদিগকে আক্রমণ করিল। গাজিাগণ “আল্লাহু আৰুবর” রবে মুহুর্মুহুঃ আকাশ-পাতাল কম্পিত করিয়া ব্যান্ত্রের ন্যায় দুর্ধর্ষ বিক্রমে শত্ৰু-সৈন্য সংহার করিতে লাগিল । বৈশাখ-বাত্যা-তাড়িত সমুদ্রের ন্যায়, রণক্ষেত্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করিল। সহস্ৰ সহস্ৰ হিন্দু সৈন্য আহত ও নিহত হইয়া ভূপতিত হইতে লাগিল। অপরাহরু কালে মুসলমানের বীর্যপ্ৰতাপ রোধে অসমর্থ হইয়া হিন্দুসৈন্য পশ্চাতে হটিতে লাগিল। তাহারা ধীরে ধীরে পশ্চাতে হটিয়া একটি উচ্চাৰচ ভূমিতে যাইয়া স্থির পাবদিবস প্ৰত্যুষে বিজয়নগরের সৈন্যদল সে-স্থান হইতেও বিতাড়িত হইল। * ** দিবস বিজয়নগর হইতে বহু সংখ্যক নূতন তোপের আমদানি হওয়ায় 8