লোমহর্ষণ-জনকভাবে চলিল! নাগরিক সৈন্যবৃন্দ রুদ্ধনিশ্বাসে আপনাদের বিক্রম নিঃশেষে একবার ভীষণ যুদ্ধোৎসাহ দেখাইল। কিন্তু উদ্বেলিত সাগর-প্রবাহের ন্যায় মুসলমান সৈন্যের প্রবেশ-গতি রোধ করে কাহার সাধ্য? অসংখ্যা পৌত্তলিক যোদ্ধার ছিন্নমস্তকে রণভূমি দুৰ্গম হইয়া উঠিল। মহাবীর সোলতান নিঙগাম শাহ বিশ্বাসঘাতক রাম রায়ের অনুসন্ধান করিতে করিতে তাহাকে মৃতদেহপুঞ্জের মধ্যে আত্ম্যুলুক্কায়িত ভাবে আবিষ্কার করিয়া টানিয়া বাহির করিলেন । তাহলে এই আত্মগোপনের ভাবে সকলেই হাস্য ও বিদ্রুপ করিতে লাগিল। অ' হাত হিন্দু সৈন্যগণ রাম রায়কে তিরস্কার ও অভিসম্পাত করিতে লাগিল। ঘূণ ও পাঞ্জার কাপুরুষ রাম রাজা সহসা মর্মে ছুরিকা বিদ্ধ করিয়া আত্মহত্যা করিলেন ; নগরবাসিগণ নিজাম শাহের আনুগম্য ও প্রভুত্ব স্বীকার করিয়া পনের লক্ষ টাকা নজর প্রদান করিলেন। নিজাম শাহ্ দুর্গশীর্ষ হইতে ত্রিশূল-অঙ্কিত পতাকা ভূতলে নিক্ষেপ করতঃ স্বকীয় ঐসলামিক পতাকা প্রোথিত করিলেন। মোসলেৰ বীরগণ “আল্লাহু আকবর” রবে আকাশ-পাতাল কম্পিত করিয়া জয়ধ্বনি করিয়া উঠিলেন। এইরূপ তালিকোট যুদ্ধে বিজয় লাভান্তে বিজয়নগর অধিকৃত হইল । রাম রায়ের অদূরদর্শিতা এবং ঔদ্ধত্যের ফলে বিজয়নগর হিন্দু-শাসনের তামসী। ছায়া হইতে উদ্ধার প্রাপ্ত হইয়া ঐসলামিক সুশাসনের উজ্জ্বল আলোকে उालकेिऊ श्रेन! বিজয়নগরের বিজয় লাভের পরে মহাবীর ঈসা খাঁ দক্ষিণাত্যের সোলতান ও প্রধান প্রধান সেনাপতিগণ কর্তৃক উচ্চকণ্ঠে প্রশংসিত হইলেন। তিনি যে বাহুতে বিষাক্ত শূলের আঘাত পাইয়াছিলেন, তাহারও চিকিৎসার বিশেষ বন্দােৱন্ত হইল। एच् चि কুলগুরু যশোদানন্দের ইসলামে দীক্ষা শাহ সোলতান সুকী মহীউদ্দীন কাশ্মীরী শ্ৰীপুরে উপস্থিত হইবার অল্পকাল পরেই তাহার যশঃ-সৌৱভে শ্ৰীপুর পূর্ণ হইয়া গেল। সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের দুরারোগ) ব্যাধি তাহার পবিত্র কর-স্পর্শে বিলুপ্ত হইতে লাগিল। চতুর্দিক হইতে ধনী দরিদ্র বহু মুসলমান আসিয়া তাহার উপদেশ-রসামৃত পান করিয়া পিপাসিত প্ৰাণ শীতল করিল। অনেক হিন্দুও তাঁহার অমৃত্যুনিস্যন্দিনী বক্তৃতা এবং কোরানের ব্যাখ্যা শ্ৰবণে ইসলামের পবিত্র কলেমা পাঠ করিয়া আপনাদের জীবন পবিত্র করিল। ফলতঃ, শ্ৰীপুরের রাজবাটীতে দুর্গোৎসব এবং শ্ৰীপুরের ঘাটে সুকী সাহেবের নিকট লোক-সমাগম ও দীক্ষার উৎসবে শ্ৰীপুর অহোরাত্র জনকোলাহলে মুখরিত হইতে লাগিল। হিন্দু-ধর্মত্যাগী নব মুসলমানদের জন্য হিন্দু እስና
