পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ । বিজাপুরের সোলতানের অধীনে কৃষ্ণনগর পরগণার জায়গীরদার সরফরাজ খান নিরুদ্বেগে জাতীয় ভোগ করিতেছিলেন। যুদ্ধকালে সোলতানকে দুই হাজার পদাতিক এবং পাঁচশত অশ্বারোহী সৈন্য দিয়া সাহায্য করতে হইত। আর সোলতানের সৈন্যদের রসদের জন্য প্রতি বৎসর পাঁচ শত গো এবং এক হাজার মেষ ও ছাগল প্ৰদান করিতে হইত। ইহা ছাড়া একটি পয়সাও খেরাজ বা খাজনা স্বরূপ দিতে হইত না । সরফরাজ খান প্ৰায় ছয় শত সত্তর বর্গ মাইল পরিমিত রাজ্যে সাড়ে দশ লক্ষ প্ৰজা লইয়া স্বাধীনভাবে বাস করিতেন। শাসন ও বিচারের সমস্ত বন্দােবন্তই তাঁহার নিজের অধীনে ছিল। কেবল মৃত্যুদণ্ড দিতে হইলে বিজাপুরের দারোল-এন হাফের অর্থাৎ হাইকোর্টের কাজী-উল-কোজাত অর্থাৎ প্রধান জজের হুকুম লইতে হইত। মারাঠা দসু্যুপতি শিবাজী সরফরাজ খানের সঙ্গে বরাবরই সদ্ব্যবহার করিয়া উভয়ের মধ্যে সন্তাবের সৃষ্টি করিয়াছিলেন। কিন্তু সলিমগড়ের মীর্জা ওবায়দুল্লাহ্ বেগের সহিত সরফরাজ খান কন্যা আমিনা বানুর বিবাহের অসন্মতি জ্ঞাপন করায়, পরস্পরের মধ্যে যখন মনোমালিন্যের সঞ্চার হইল, সেই সময় ওবায়দুল্লাহ্ বেগের নিকট হইতে প্রচুর অর্থবল এবং সৈন্যবল লাত করিয়া শিবাজী সহসা কৃষ্ণগড় আক্রমণ করিয়া বসিলেন। সরফরাজ খান এই আক্রমণ সম্বন্ধে একেবারেই কিছু অবগত ছিলেন না। সুতরাং সহসা আক্রান্ত হইয়া প্রথমতঃ নিতান্তই অপ্ৰতিভ এবং উদ্বিগ্ন হইলেন। পরে সত্ত্বরতা সহ প্ৰস্তুত হইয়া কৃষ্ণগড়ের পার্বত্য দুর্গে আশ্ৰয় গ্রহণপূর্বক ভীষণভাবে সমরাঙ্গনে অবতীর্ণ হইলেন। দুর্গ হইতে মধ্যে মধ্যে ধাওয়া করিয়া শিবাজীর বহু সৈন্য হতাহত করিতে লাগিলেন। কিন্তু শিবাজীর সৈন্য-সংখ্যা অনেক বেশী থাকায়, সরফরাজ খান বিশেষ কিছু সুবিধা করিয়া উঠিতে পারিলেন না। দুর্গের রসদ ক্রমে ফুরাইয়া গেল। অথচ বিজাপুর সোলতানের কোনও সৈন্যদল সাহায্যের জন্য আগমন করিল না। সন্মফরাজ খান ক্রমশঃ হতাশ হইয়া যার-পর-নাই ভীষণ হইয়া উঠিলেন। তিনি অন্যহাৱে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া অপেক্ষা সৈন্যদল ও একমাত্র বীরপুত্র আলী হায়দার খানকে সঙ্গে লইয়া শিবাজীর সৈন্যদলকে ভীষণভাবে আক্রমণ *রিলেন। প্ৰচণ্ড আক্রমণে শিবাজীৱ সৈন্যদল রণক্ষেত্রে তিটিতে না পারিয়া বহুদূরে হটিয়া গেল। শিবাজীর প্রচুর রসদ dvoj-gvis ar cyrftes t