পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুদ্ধ হয়ে ঝরে পড়বে। যেদিন হতে তোমাকে দেখেছি, সেই দিন হতেই সব তুলে তোমাতে মজেছি। সেই দিন হতে তোমার চরণকমলের ধ্যান ব্যতীত দেবাদিদেব মহেশ্বর শিবের ধ্যান আর করতে পারি নাই। মহেশ্বরকে যে ফুল ও বিৰপত্র যুগিয়েছি, তা’ তোমার চরণোদেশেই যুগিয়েছি। সেই দিন হতে তোমার ನ್ತರಾಗಿ শয়নে-স্বপনে, নিদ্ৰা-জাগরণে এক মুহূর্তের জন্যও বিস্মৃত হতে . “মনকে যত বুঝাতে লাগলাম, মন ততই অবুঝ হয়ে উঠতে লাগল; যতই ধৈর্যধারণ করতে চেষ্টা করলাম ততই অধীর ও উন্মত্ত হয়ে উঠল! চুম্বক যেমন লৌহকে আকর্ষণ করে, তোমার হৃদয় তেমনি আমাকে আকর্ষণ করেছে! এ আকর্ষণে-এ সম্মিলনে বাধা দিবার শক্তি কারও নাই। “তুমি বিজাপুর রাজ্যের প্রধান সেনাপতি। তুমি একজন মন্ত বীর পুরুষ। তোমার সম্মুখে যশঃ-সম্মান ও উচ্চপদ নিয়তই তোমাকে প্রলুব্ধ করছে। তুমি আমার জীবন-বসন্তের মলয়ানিল, হৃদয়-আকাশের পূর্ণ চন্দ্ৰমা এবং উষার ” আকাশে শুকতারা হলেও, আমি তোমার সম্পূর্ণ অযোগ্য। কিন্তু আমার হৃদয়ের ক্ষুদ্র নদী আজ তোমার উদ্দেশে—তোমার প্ৰেম-পরিপূর্ণ হৃদয়-পরাবার পানেই ছুটে চলেছে। “তার গতি অবাধ ! সে আজ আত্মহারা অবশভাবে ছুটে চলেছে। তার পরিণাম কি হবে, তদ্বিষয়ে সে কিছুমাত্র চিন্তা না করেই তোমাতেই আত্ম বিকিয়ে বসেছে! হে প্ৰাণেশ্বর! হে স্বামিন! হে আমার জীবন-প্ৰভাতের মোহন উষা! হে জীবনবারিধির কৌস্তভ রতন! এখন তোমার আদর-অনাদরেই এ হতভাগিনীর शैदन-भद्रम निर्द्धछ काद्ध ।" শিবাজী-নন্দিনী আর কিছু বলিতে পারিলেন না। উচ্ছসিত প্রেমাবেগে সন্দেহ এবং আশঙ্কায় তাহার পদ্মাপলাশিলোচন হইতে তরল মুক্তাধারা নিৰ্গত হইতে नाशिज । যে রমণী অনিশ্চিত প্রেমের আশায় চিত্তের উন্মাদনায় পিতামাতা আত্মীয়স্বজনের মেহের বন্ধন খণ্ডন করিয়া তাহার প্ৰেমাস্পদের সেবায় উপস্থিত হইয়া পিপাসা পরিতৃপ্তি করিতে পারিতেছে না, তাহার পক্ষে প্রেমাম্পদের নিকটে নিজের অবস্থার বিবরণ খুলিয়া বলিতে যাইয়া শোকাবেগে ক্ৰন্দন করা নিতান্তই স্বাভাৱিক । আফজাল খাঁ সুন্দরীর প্রেমোচ্ছাস এবং হৃদয়ের আবেগ দেখিয়া অবাক হইয়া গেলেন। মনের ভিতরে দ্রবীভূত হইয়া নিতান্ত চাঞ্চল্যে অভিভূত এবং প্রেমের ধারায় অভিসিক্ত হইলেন। অন্তরে বাহিরে তখন মহাবীর আফজাল খাঁর তুমুল ঋটিকা খাবাহিত হইল। প্রাণের পরতে পরতে অনন্ত পুলক শিহরিয়া উঠিতে dd