পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগিল। নৰ বসত্তের মলয়া হাওয়ার প্রথম অনন্ত পুলক শিহরিয়া উঠিতে লাগিল! ) নব বসন্তের মলয়া হাওয়ার প্রথম চুম্বনে শীত-সন্ধুচিত কুসুমকলিকাগুলি যেমন শিহরিয়া উঠিয়া ফুটিয়া উঠে, আফজাল খাঁর হৃদয়-মালঞ্চ তেমনি শিহরিয়া উঠিয়া প্রেমের লুম্পে তারিয়া গেল। অনন্ত প্রেমের কুসুম-সুষমার মোহিনী আভা, সন্ধ্যাকাশে স্বর্ণমেঘের ন্যায় হৃদয় জুড়িয়া বসিল। হৃদয়ে হৃদয়ে আভা ফুটিল। মরমে মরমে বাণ ছুটিল। তখন আগ্রহ ও বায়তায় হৃদয়-কুঞ্জে প্রেমের কোকিল পাপিয়া অবিরাম কৃজনে ডাকিতে লাগিল! আফজাল খাঁ প্ৰেমাবেশে সেই নির্জন দীপালোক-আলোকিত-কক্ষে শিবাজীনন্দিনীকে বুকের ভিতরে টানিয়া লইয়া তাহার গোলাপী গণ্ডে কয়েকটি চুম্বনদান করিলেন। প্রদীপ-শিখা একটু কাপিয়া উঠিল! যুবতীর হৃদয় লজ্জা ও প্রেমে সকুচিত অথচ সহর্ষ হইয়া উঠিল! উভয়েই ক্ষণকাল নীরব। উভয়ের বক্ষের স্পন্দন দ্রুত চলিতে লাগিল। উভয়ে উভয়ের গভীর প্ৰেমালিঙ্গনে আবদ্ধ। মারাঠা রাজকুমারীর নেত্র-কুবলয় হইতে প্রেমের মুক্তাধারা বর্ষিত হইয়া পাঠানবীরের বক্ষস্থল বিপ্লাবিত করিতে লাগিল। দশম পরিচ্ছেদ বিজাপুরের সোলতানের পক্ষ হইতে পঞ্চদশ সহস্ৰ পদাতিক, দুই সহস্ৰ অশ্বারোহী, সাত শত গোলন্দাজ সৈন্য কৃষ্ণগড়ে সমাগত হইয়াছে। শিবাজীর বিশ্বাসঘাতকতা এবং নৃশংস ব্যবহারের সংবাদ শ্ৰৱণে ক্রুদ্ধ এবং বিরক্ত হইয়া বিজাপুর দরবার শিবাজীকে সমস্ত দসু্য-সৈন্যসহ ধ্বংস করিতে এই সৈন্যদল Goቫg°] ቕ፻፵ጻ | আফজাল খাঁ কৃষ্ণগড়ে রাজকীয় ৰাহিনীর আগমন আশায় অপেক্ষা করিতেছিলেন। যথাসময়ে এই নূতন বাহিনী কৃষ্ণগড়ে সমাগত হইলে, মহাবীর আফজাল খাঁ শিবাজীৱ সহিত যুদ্ধার্থ প্ৰস্তুত হইলেন। শিবাজীৱ প্ৰতি নিতান্ত রুষ্ট এবং বিরক্ত হইয়া মালেকা আমেনা বানুও ইসলামের মহাশত্ৰু শিৰাজীৱ ধ্বংস সাধন মানসে মহাবীর আফজল খাঁর সহিত যোগদান করিলেন। ক্ৰমাগত যুদ্ধ চলিতে লাগিল। শিবাজী সন্মুখ-সমৱে অক্ষম হইয়া ক্রমাগত পশ্চাদবর্তন করিতে করিতে সহাদ্রি পর্বতের দুর্গম অৱণ) এবং গিরিগহবর পরিপূর্ণ স্থানে যাইয়া আশ্ৰয় লইলেন। হঠাৎ আক্রমণ, গুপ্ত আক্রমণ এবং নৈশ আক্রমণ এই তিন প্রকার আক্রমণ দ্বাৱা মধ্যে মধ্যে মোসলেম বাহিনীকে KO