পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবাজী : আফজাল খাই আমার প্রধান শত্ৰু । তার মত দক্ষ সেনাপতি না থাকলে বিজয়পুর বাহিনীকে অনেক পূর্বেই পর্যুদন্ত করতে পারতাম! মার্লেকা ; আফজাল খাকে কন্যা দান করলে সন্ধি হতে পারে এবং তারার dos Y (Cy 9 V BD DSSSBL DB BBDBBD DDDD DL LLL D LLDLDBDD আগামী কালই কৃষ্ণগড়ে পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। মা! তুমি আমার বিরুদ্ধাচরণ করবে না, এটাই আমার বিশেষ ভরসা। চতুর্দশ পরিচ্ছেদ গভীর নিশীথে সুড়ঙ্গপথে বেইশ অবস্থায় তারাবাঈকে হরণ করিয়া লইয়া মালোজী এক পর্বত গুহায় লুকাইয়া রাখিলেন। কিন্তু সেখানে আফজাল খাঁর চৱগণ আশু অনুসন্ধান পাইতে পারে বলিয়া পিত্ৰালয় রায়গড়ে পাঠাইবার কথা হয়। কিন্তু সেখানে রাখিলে পাছে আফজাল খাঁ রায়গড় আক্রমণ করিয়া বসেন, এই ভয়ে শিবাজী তাহাকে মাতুলালয়ে রাখিতে আদেশ করেন। কঙ্কন প্রদেশের বিঠলপুরের এক গিরি-উপত্যকায় তারার মাতুলালয়। স্থানটি নিতান্ত দুৰ্গম, অথচ প্রাকৃতিক দৃশ্যে নিতান্তই মনোরম। তারার মাতামহ মলহর রাও একজন বড় জোতদার এবং হায়দ্রাবাদ নিজামের তহশীলদার। সুতরাং বিঠলপুরে তিনি একজন ক্ষমতা ও প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি। তারাকে এখানে বিশেষ যত্নে গোপনে রাবী হইল। তারার মনের গতি পরিবর্তনের জন্য নানাবিধ উপায় অবলম্বন করা হইল। কোনওরূপে একটি সন্ধি স্থাপিত হওয়া মাত্রই মালোজীর সঙ্গে তাহার উদ্বাহ-ক্রিয়া সম্পন্ন হইবে, এই আশায় সকলেই উদ্বিগ্ন রহিল। তারা সহস্ৰ যত্ন এবং আদর পাইলেও কিছুতেই আফজাল খ্যার অতুল গরিমাপূৰ্ণ সৌন্দর্য এবং প্রেমের মাদকতা ভুলিতে পারিল না। স্বাধীন বনাচারী বিহঙ্গকে পিজিরাবদ্ধ করিলে তাহার মানসিক অবস্থা যেরূপ হয়, তারার অবস্থাও \5ხერl | তারার প্রাণের ব্যাকুলতা এবং চাঞ্চল্য দিনের পর দিন বাড়িয়া যাইতে লাগিল। পলায়ন করিবার জন্য নানা চেষ্টা করিয়াও কোনও সুযোগ করিয়া উঠিতে পারিল না। জীবন, তারার কাছে নিত্যই দুৰ্বহ বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। তাহার মনের কথা, প্ৰাণের ব্যথা, ব্যক্ত করিবার জন্য একটি লোকও নাই। তাহৱ প্ৰণয় দেবতা আফজাল খাঁর কোনও সংবাদ না পাইয়া সে আরও অধীর ও চঞ্চল হইয়া