পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালিয়া নিজের পথ মুক্ত করেন। কিন্তু অন্তঃপুরের আর হইতে দুটি পাইলেও বাহিরের দ্বাৰে সৈনিক-গ্ৰহী কর্তৃক গ্রেফতার হন। LDB DBBBBD BLB DD DDDB BDBBG LLLD DD gt DBBD আমাৰ শাৰ অন্ধকাৱে ভুৰিয়া গেল। আশায় কমল নিরাশার পকে মগ্ন হইল। রায়গড়ে মহা হাহাকাৱ পড়িয়া গেল। তারার শোকে সকলেই আত্মহারা হইল। সেই বিৰাহোৎসৰ দিনের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শোকের বিষয় পাঠক-পাঠিকা অনুমানে বুঝিয়া ব্লউন। আর যদি সহানুভূতি থাকে, তবে এক বিন্দু অশ্রুপাত ܐ ܘܠ SBDDD BDBDB BDDBD BB DD DDDBSS D DBDB DBDDD হিংসাপরায়ণ আত্মা শূন্যে মিশিয়া গেল। শায়গড়ের বিষাদ ভার আরও বাড়িয়া গেল। কারণ সকলেই বুঝিল যে, মালো। তারার প্রতি একান্তই আসক্ত এবং অনুরক্ত ছিলেন। কিন্তু তারা তাহাকে একেবারেই চাহিত না। সে আফজাল খাঁর রূপসরোবরেই প্রেমের কমল তুলিতে সাতার দিয়াছিল। কিন্তু হায়! হতভাগিনীর আশা পূৰ্ণ হইল না। দণ্ডীবনের অতৃপ্ত আকাজক্ষা এবং প্রেমের আগ্নেয়-পিপাসা লইয়াই জীবন ত্যাগ করিল! প্ৰেম-সরোবরে ডুবিয়াও এক বিন্দু প্রেমসুধা পানের পূর্বেই তাহার জীবনলীলা শেষ হইল। কি তীব্ৰ বিষাদপূর্ণ ভয়াবহ ঘটনা। শিবাজী কন্যার শোকে নিতান্ত বিমনায়মান এবং কিংকৰ্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িলেন। আফজাল খাঁর নিকটে গভীর দুঃখ ও করুণ বিলাপ প্ৰকাশ করিলেন। আফজাল খাৱ চক্ষু হইতে অশ্রুধারা নিৰ্গত হইল। অনন্তর আফজাল খাঁর সহিত আত্মীয়তা এবং কুটুম্বিতা বজায় রাখিবার জন্য শিবাজী তােহর ভগ্নী কামিনীবাঈকে আফজাল খাঁর করে সমৰ্পণ করিবার প্রস্তাৰ করিলেন; কিন্তু আফজাল খাঁ কিছুতেই স্বীকৃত হইলেন না। আফজাল খাঁ তৎপর দিবস প্ৰাতঃকালে বিজাপুরে কুচ করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। শিবাজীও অগত্যা তাহাকে সম্মত হইলেন। পরদিন প্ৰত্যুষে সেনাপতি সাহেব রাজধানীতে প্ৰত্যাবর্তন করিবার জন্য প্রস্তুত হইলে, শিবাজী, ৱামদাস স্বামী প্রভৃতি সকলেই ৰিদায় দিতে আসিলেন। শিবাজী দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া বলিলেন, “মহাৰীৱ সেনাপত্যে! আমার আশা পূৰ্ণ হল না। নীেকা কুলে লেগেও ডুবে গেল। আপনি আমার প্রবল শত্রু ছিলেন। আপনি অসাধারণ বীরপুরুষ! আপনি আমার দক্ষিণ হন্ত হলে, দিল্পীর সিংহাসন দখল করাও অসম্ভব ছিল না। আমার আশা পূৰ্ণ হল না! আপনার সহিত যুদ্ধে কখনও পারব না! আমার রাজ্যলিলা কখনও দমিত হবে না; সে পথের আপনি কন্টক । যে উপায়ে সে কন্টক দূর করার জন্য। আশা করেছিলাম, তা ব্যৰ্থ হল! সুতরাং এক্ষণে দসু্যবৃত্তি ব্যতীত আর উপায় মাই।” শিবাজীর কথা শেষ হইতে না হইতেই আফজাল খাঁ ভীষণ চীৎকার করিয়া