পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীটদী মধর পাঁ৩াকার নায় দিন দিন মলিন হইতে লাগিলেন। কৰ্দমে পতিত পন্ধের ন্যায়, রাংগ্ৰন্ত চন্ত্রের নায়, ধূমাচ্ছন্ন বহ্নিীর ন্যায় একান্ত বিমনায়মানচিত্ত হইয়া পড়িলেন । মুরলা নামক একটি পরিচারকা নিতান্ত চতুর এবং সুন্দরী ছিল। ফিবোজার সম্ভাবহারে সে ক্রমশঃ ফিরোজার প্রতি একান্ত ভুক্তিমতী এবং হইয়া পড়িল। মারাষ্ঠীরা তাহাকে মালব দেশ হইতে বন্দী করিয়া আনিয়াছিল; আনিবার পরে একটি ভূতের সহিত বিবাহ দিয়াছিল। কিন্তু সে বিবাহের পরেই অল্পদিন মধ্যেই বিধবা হইয়াছে। ফিরোজার মনোমোহিনী দেবীদুর্লভ পরম শ্ৰী, মধুর ভাষা এবং সস্নেহ ব্যবহারে মুরলা এমনি মুগ্ধ হইয়া পড়িল যে, ফিরোজার সেবা করিতে পারিলেই পরমানন্দ লাভ করিত । ক্রমে সে প্ৰাণ ঢালিয়া ভালবাসিতে বাসিতে ফিরোজা-গত-চিত্ত হইয়া পড়িল । সে আনন্দ্ৰেৱ সহিত ফিরোজার রক্তকমলনিন্দিত হস্তপদ টিপিয়া দিত। ফিরোজার দুঃখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিত। ফিরোজার সহিত মুক্তির উপায় অনুসন্ধান করিত। সেই যমদূতের ন্যায় প্রহরী-প্রহরিত বাটী হইতে নির্গত হইয়া কিরূপে দিী গমন করিতে পারে, সে-বিষয়ে কত রজনী বিনিদ্র অবস্থায় পরামর্শ করিল। মুক্তির জন্য কত রূপ কল্পনা-জল্পনা করা হইল। কিন্তু কিছুই কুলকিনাৱা হইল না। কোনও উপায় উদ্ভাবিত ও নির্দিষ্ট হইল না। ইহার মধ্যে ঘোষিত হইল যে, সদাশিব রাও আর কয়েক দিনের মধ্যেই দিী হইতে সেতারায় আসিবেন। দালান-কোঠার চূণকাম হইতে লাগিল। বাগান ও বৃক্ষবাটিকা সকল পরিষ্কৃত হইতে লাগিল। রাজবাটীর সকলেই প্ৰফুল্প হইয়া উঠিল। এ-সংবাদ অবশেষে মুরলা কর্তৃক ফিরোজা বেগমেরও গোচরীভূত হইল। ফিরোজা শিহরিয়া উঠিলেন। ভূমিতে মন্তক লুটাইয়া আল্লাহ্র দরগার সেজদা করিলেন। তাহার পর অশ্রুপূৰ্ণ আঁখিতে মোনাজাত করিলেন ঃ "হে আল্লাহ! হে আমার প্রভু! তুমিই ধর্ম ও ন্যায়ের রক্ষাকর্তা। হে এলাহি! কাফেরের হন্ত হতে আমাকে উদ্ধার কর । আমার ধর্ম ও সতীত্ব রক্ষা কর। হে প্ৰভু! তোমার অসাধ্য কর্ম কিছুই নাই। তুমি হজরত ইউনুসকে মৎস্যের উদর হতে, ইবরাহীমকে অগ্নিকুণ্ড হতে, হজরত মুসাকে দরিয়া হতে রক্ষা করেছ। প্রতিদিন প্ৰতি মুহুর্তে তুমি অনন্ত কোটি জীবজন্তুকে লক্ষ লক্ষ বিপদ, মছিবত এবং লক্ষ প্রকারের অধঃপতন ও পাপ হতে রক্ষা করছি। তোমার মহিমা ও কৌশল অপরিসীম । ”হে মালোক! তোমার এই ক্ষুদ্র ও অধম বাব্দীকে বন্দিত্ব হতে মুক্ত কর । তুমি পরমপিতা, পরমবন্ধু এবং পরমহিতৈৰী! কীটাগুকীট। আমি, হীনতম দাসী আমি, অধমাদপি অধম আমি, আমি তোমার দয়ায় তিধারী!! “হে বিশ্ব প্ৰভু! তোমার ইচ্ছায় সকলই সম্ভবপর। তুমি পর্বতকে সমুদ্র ও সমুদ্রকে পর্বতে পরিণত করতে পার। ভূমি রাত্রিকে দিবস এবং দিবসকে রাত্রিতে Sv