পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিলেন, দুই জন নহে--সাত জন অশ্বারোহী সৈনিক এক ব্যক্তিকে বন্দী করিয়া লইয়া আসিতেছে। বন্দীর অঙ্গে গৈরিক বসন পরিহিত । সৈনিক ক্রমশঃ নিকটবতী হইলে দেকা গেল যে, একজন তরুণ বয়স্ক যুবক-সন্ন্যাসীর হন্তে কড়া এবং কটিদেশে জিঞ্জির লাগাইয়া একটি অশ্বের উপরে দৃঢ় বন্ধনপূর্বক সৈন্যগণ SDD BBBtS BDB DBD DBDLD S BBB BB BBDS DuDD DDD দারুণ ক্লেশ ও হতাশার লক্ষণ সুস্পষ্ট বিরাজমান। মারাষ্ঠী সৈনিকেরা সেই সরোবরের তটে আসিয়া অশ্ব হইতে অবতরণপূর্বক শ্যাম তৃণতলে বসিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিল। বন্দীটিকে ঘোড়া হইতে নামাইয়া ঘোড়াগুলিকে ছাড়িয়া দিয়া নিজেরা আহারের উদ্যোগ করিতে লাগিল । আহারান্তে সৈনিকগণ বন্দী পুরুষকেও কয়েকখানি রুট এবং কিছু ছােলাভাজা খাইতে দিয়া পুনরায় হস্ত-পদাদি দৃঢ়ৰূপে বন্ধনপূর্বক একজনকে প্রহরায় নিযুক্ত করিয়া আর সকলে বিশ্রাম করিতে লাগিল। গালচা-বিনিন্দিত কোমল তৃণের छन किषेश न्य गोष्ठय भन्न स्वा प्रिबन पौष १मावेश যে সৈনিকটি প্রহরায় ছিল, সেও ক্রমশঃ বন্দীর জন্য কোনও আশঙ্কা না থাকায় এবং ক্লান্তিবিনাশী সমীরণ সেবনে ক্রমশঃ প্ৰগাঢ় রূপে ঘুমাইয়া পড়িল । ফিরোজা এবং মুরলা বৃহৎ ঝোপের নিবিড় আড়াল হইতে চুপে চুপে দাসুদিগের গতিবিধি পৰ্যবেক্ষণ । বন্দীকে বিশেষরূপে দেখিবার পরে, তাহাকে তাহার হৃদয়নিধি, সংসারমরুভূমির আশ্ৰয়-উদ্যান সহধর্মী নজীব-উদ্দৌলা বলিয়া ধারণা হইল। কিন্তু চক্ষের দৃষ্টিকেই প্রথমে বিশ্বাস করিতে পারিলেন না। ভাবিলেন, আমার প্রাণকাণ্ড নাজীব-উদ্দৌলা দসু্যহন্তে বন্দী হইয়া থাকিলে, এখানে তাহাকে কোথা হইতে লইয়া আসিবো? তৎপরে তােহাৱা গৈরিক বাস পরিধান করিবার কারণ কি? না, আমার শোকে, আমার অনুসন্ধানে, আমার তত্ত্বতয়াসে সন্ন্যাসীবেশে বাহির হইয়াছিলেন? কিছুই যে ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না। হায়! মন কেন এমন ব্যাকুল হইতেছে। হায়! সত্যই কি ইনি আমার প্ৰিয়তম স্বামীr বেগমের ব্যাকুলতা, ললাটে চিন্তার রেখা এবং মুখে বিষাদ-কালিমা দেখিয়া মুরলা চিন্তিত হইল। মুরলা তাবিল যে, বেগম বোধহয় দাসু সিপাহীদের ಇಂಕ್ಜೆಕ್ಷ್ಟ್ತಿಲ್ಲ: বেগমকে বলিল, “দিদি! ভীত হবার কিছু নাই। সিপাহীরা কিছুতেই আমাদিগকে দেখতে পায় নাই এবং এদিকে আসলেও দেখতে পাবে না। আমরা এমন চমৎকার হানে আছি যে, আমৱা দসু্যদিগের সমস্তই দেখতে পানিহ; কিন্তু ওরা কিছুতেই আমাদিগকে দেখতে পাবে না।” r ফিরোজা ঃ মুৱলা, সিপাহীদিগকে দেখে আমি ভীত হই নাই। কিন্তু বন্দীকে দেখেই আমার প্রাণ ব্যাকুল হচ্ছে। আমার মন যেন বলছে, এই বন্দীই আমার R)