ስbÍslq" ፶« c¢ሓል ማiqNicማJ:Iጻ aኮፒilእማ ጻ] ! রাজা ছত্ৰসিংহ একটি সমুন্নত তেজশ্বৰী অশ্বে আরোহণ করিয়া সেনাপতি রণবীর সিংহ এবং যুবরাজ হামীব সিংহ সহ ধীরের ন্যায় অত্যুত্র প্রতাপে মারাঠীবাহিনীকে বিশেষরূপে আক্রমণ কৰিয়া তাদের বৃহ বিদীর্ণ ও বিশীর্ণ করিয়া ফেলিলেন। জাঠগণ ভীষণভাবে বীর্য-প্ৰতাপ প্ৰকাশ্যপূর্বক শত্রু নিধন করিয়া সমৱক্ষেত্রে দেহপাত করিতে লাগিল। বহুসংখ্যক মারাঠী সৈনিক জাঠদিগের অস্ত্ৰীত্ব'তে অকালে কালাসাগরে জীবন-তরণী ভাসাইয়া দিল। মারাষ্ঠীগণ জাঠের কঠোব ও প্রচণ্ড বিক্রমে পর্যন্দন্ত-প্রায় হইলে দিল্লীর শাহী সৈন্যদল প্রচণ্ড তেজে জাঠগণের প্রতিরোধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইল। বীরবার সফদরজঙ্গ প্ৰকাণ্ডকায় তেজীয়ান তাজী আম্বে সমান্ধঢ় হইয়া জািঠরাজ ছত্রসিংহকে লক্ষ্য করিয়া প্ৰবল বলে জাঠদিগকে বিমন্দিত করতঃ অগ্রসর হইতে লাগিলেন। হামীর সিংহ আসিয়া সফদরজঙ্গর গতিরোধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলে উভয়ের মধ্যে ভীষণ সমরের সূচনা হইল । হামীর সিংহ সফদরজঙ্গকে লক্ষ্য করিয়া শাণিত ভয় প্ৰক্ষেপ করিলে, বীৱকুলৰ্ষত সফদরজঙ্গ মুহুর্তমধ্যে তাহা লীেহঢালে উড়াইয়া দিয়া প্রসারিত করে ভীষণ তরবারি। প্ৰহারে বামাঙ্কন্ধ সাংঘাতিকরূপে বিক্ষত করিয়া দিলেন। হামীর সিংহ উৎকৃষ্ট লৌহবর্মে বিমণ্ডিত থাকিলেও তরবারি ভীষণ বেগ প্রভাবে লৌহ-বর্ম ভেদ করিয়া চারি অঙ্গুলি পরিমিত স্বন্ধদেশে বসিয়া পড়িল। অবস্থা শোচনীয় বলিয়া হামির সিংহ যুদ্ধক্ষেত্র হইতে সরিয়া পড়িলেন। হামীর সিংহের পশ্চাদবর্তনে সফদরজঙ্গ সুবিধা পাইয়া একেবারেই বিপুল বিক্রমে যাইয়া ছত্রসিংহকে আক্রমণ করিলেন । প্ৰথমে তৱবাৱিন্তে তরবারিতে ভীষণ যুদ্ধ হইল। অতঃপর তরবারি ভগ্ন ও চূর্ণ হইয়া গেলে, প্ৰচণ্ড তেজে বর্শ লইয়া উভয়ে উভয়কে আক্রমণ করিলেন। বর্শাযুদ্ধ করিতে করিতে সফদরজঙ্গ বাম বাহুতে একটু আঘাত পাইয়া একান্ত উন্মত্ত ও নিতান্ত প্ৰচণ্ড হইয়া পড়িলেন। অমিতবিক্রম সিংহতেজা সফদরজঙ্গ ভীমবেগে ছত্রসিংহের উরস লক্ষ্য করিয়া এমনভাবে বর্শা প্রহর করিলেন যে, ছত্রসিংহের লৌহ ঢালের উপর লাগিয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বলিয়া উঠিল এবং সেই বেগে ছত্ৰসিংহ ঘোড়ার একদিকে যেমন হেলিয়া গেলেন, আমনি সেদিকের রেকাব দোয়াল হইতে ছিড়িয়া ভূপতিত হওয়ায় ছত্রসিংহও সহসা ভূপতিত হইলেন । বীরপুরুষ রাজা ছত্রসিংহের আকস্মিকভাবে এইরূপ ভূপতিত হওয়ায় মুহূৰ্তমধ্যে চতুর্দিকহু জাঠসৈন্যদলের মধ্যে একটি অক্ষুট আৰ্তধ্বনি সমুখিত হইল। জাঠের সকলেই ভাবিল যে, এইৰাৱ মহাবীর সকদৱজজের শাণিত
