পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ বৎসর বয়সের পূর্বে প্রায় বিয়ে হয় না। হিন্দুদের মত আমাদের মধ্যে বাল্যदिवा न्ना ।।* যুবতী ঃ বাল্য-বিবাহটা বড়ই খারাপ! যুবক : নিশ্চয়ই। তাতে দম্পতির স্বাস্থ্য যে কেবল নষ্ট হয়, তা নয়। তাদের সন্তানেরাও অত্যন্ত দুৰ্বল, ক্ষীণ-জীবী এবং রোগপ্রবণ হয়। যে সব দোষের জন্য তোমাদের হিন্দুরা মুসলমানের অপেক্ষা দুর্বল, সাহসহীন ও ভীরু, তাহার মধ্যে এও একটি প্রধান কারণ। যুবতী ঃ কিন্তু আপনার এখন বিবাহ করা উচিত। যুবক ঃ তা দেখা যাবে। যুবতী ঃ খুব সুন্দরী ও প্রেমিকা দেখে বিয়ে করবেন। যুবক ঃ সুন্দরী ও প্রেমিকা তো চাই-ই বটে। কিন্তু বিয়ে করলে বলিষ্ঠা ও সাহসিনী দেখেও করা চাই। যুবতী : কেন? যুবক ঃ তাহলে সন্তানাদিও বলিষ্ঠ ও বীরভাবাপন্ন হবে। যুবতী ; আপনার ছেলে এমনি বীরপুরুষ হবে। আপনার সাহস ও বীরত্বের চার ভাগের এক ভাগ পেলেই সে ছেলে বাঘ আছড়িয়ে মারবে। যুবক : কেবল পিতা বীরপুরুষ হলেই হয় না, মাতাও বীর্যবতী ও সাহসিনী হওয়া চাই । যুবতী : তাহলে স্ত্রীলোকদিগেরও শারীরিক নানাপ্রকার ব্যায়াম এবং অস্ত্ৰচালনা-কৌশল শিক্ষা করা চাই । যুবক : নিশ্চয়ই। যুবতী : তাহলে আপনাদের মধ্যে স্ত্রীলোকেরাও ব্যায়াম-চৰ্চা করে? যুবক ঃ হাঁ, সন্ত্রান্ত বংশের সকল স্ত্রীলোককেই যুদ্ধ শিখতে হয়। আগে এ প্রথা আরও বেশী ছিল। কিন্তু বাঙ্গালা দেশে এসে মুসলমানেরাও কেমন বিলাসী, অলস ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। যুবতী : আমি তো একটু তীর ও তরবারি চালনার অভ্যাস করেছি। কিন্তু বাবা ব্যতীত আর সকলেই তার জন্য আমাকে ঠাট্টা-বিন্দ্ররূপ করে-বলে যে, “মর্দামী শিখছে।” যুবক ; তবে তা আজ দসু্যরা বড় বেঁচে গেছে। যুবতী : আপনি বিদ্রুপ কচ্ছেন, কিন্তু আমার হাতে অন্ত্র থাকলে আমি দসু্যুদিগের সঙ্গে নিশ্চয়ই যুদ্ধ করতেম। যুবক : বেশ কথা! আমি শুনে খুশী হ’লেম। এইবার একটা বীর পুরুষ দেখে বিয়ে দিতে হবে। দেখো শেষে কোনো কাপুরুষকে শাদী না করি।

  • osvo sig af Vara17 arra Prawa Maguw way-figis yang seva i

X ዒ