পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেগম ; সেখানে গিয়ে সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে যা বিহিত হয় তাই न | শাহ ঃ যা হুকুম ! আদেশ শিরোধাৰ্য করলাম। বেগম ও রাণী লক্ষ্মীবাঈ এবং শ্ৰীমতী রুক্মিণীর জন্য আমার তরফ হতে আমার প্রেরিত ফর্দ-দৃষ্টি ভোট-ঘাট নিতে যেন ত্রুটি না হয়। শাহুঃ নিশ্চয়ই না। শাহু রোকনউদ্দীন। অতঃপর চিতোর যাইবার বন্দোবস্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আদেশ দিলেন। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ দেখিতে দেখিতে ধা, ধা করিয়া অবসরের দশদিন অতিবাহিত হইয়া গেল। একাদশ দিবস প্ৰাতঃকালে সন্ধির কথাবার্তার জন্য দরবার বসিল। আহ্মদ শাহ্ অর্ধ চিতোর রাজ্য এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণস্বরূপ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দাবী করিয়া বসিলেন । রাণা সম্পূর্ণ টাকা দিতে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলেন, কিন্তু রাজ্য দিতে অস্বীকৃত হইলেন। অনেক পীড়াপীড়ি, অনেক কথা-কাটাকাটি হইল। কিন্তু পরস্পরের শর্ত কেহই স্বীকার করিতে বাধ্য হইলেন না। মালবের (মালওয়ার) সুলতান রোকনউদ্দীন বহু চেষ্টা এবং যত্ন করিয়া রাণাকে আহ্মদ রেজা খাঁর জায়গীরের জন্য দুইটি পরগণা এবং গুজরাটের পক্ষ হইতে চিতোরে মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থান এবং জায়গীর দানের বিষয়ে রাণাকে স্বীকৃত করাইতে সমর্থ হইলেন। কিন্তু রােজ্যাংশ ত্যাগ করিতে মহারাণা একেবারেই অস্বীকৃত হইলেন। এ দিকে আহমদ শাহ্, অর্ধরাজ্য না পাইলে সন্ধি করবেন না বলিয়া জেদ করিয়া বসিলেন। সুতরাং যুদ্ধ অনিবাৰ্থ হইয়া উঠিল। মহারানী লক্ষ্মীবাঈ প্ৰমাদ গণিলেন। রুমী খাঁ রাণাকে অনেক বুঝাইলেন, কিন্তু রাণী রাজ্য ত্যাগ করা অপেক্ষা যুদ্ধ করাই মজল মনে করিলেন। আহ্মদ শাহ্ চিতোৱ পুনরাক্রমণ করিলেন। রাজভক্ত। ৭০ হাজার রাজপুত যোদ্ধা তরবারি হন্তে তীৰ্ষণ আহবে প্ৰমত্ত হইল। রণক্ষেত্র শোণিত-তরঙ্গে ভাসমান হইয়া গেল। মোসলেম ও রাজপুতের পদভাৱে পৃথিবী কম্পিতা এবং রণ-হুস্তাৱে দিশুমণ্ডল প্ৰতিধ্বনিত হইল। গুজরাট পক্ষে ২০ হাজার এবং চিতোর পক্ষে ৫০ হাজার সৈন্য নিপাতেী »ዓ