পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহরহঃ (১ষ্টা পাইতে লাগিলেন। যুবতীকে যৌবনের সরস-বিলাস সম্ভোগে মাতোয়াৱা করিবার জন্য অনেক কাণ্ড-কারখানা করা হইল । কিন্তু হায়! সমস্তই পণ্ডশ্রমে পরিণত হইল। রুক্মিণীবাঈ দিন দিন আরও গভীর এবং নিঃসঙ্গ প্রকৃতিবিশিষ্ট হইতে লাগিলেন। বুদ্ধিমতী ধাত্রীমাতা মঞ্জলিকা বিশেষ চেষ্টা ও যত্ন করিয়া দিবারাত্র রুক্মিণীকে নূরউদ্দীনকে তুলিবার জন্য নানা উপদেশ দিতে এবং অনুরোধ করিতে লাগিল। কিন্তু হায়! ফল ক্রমশঃই বিপরিত ফলিত লাগিল। নূরউদ্দীন ব্যতীত রুক্মিণীর আর কোনও ধ্যান-জ্ঞান রহিল না। ধাত্রী মঞ্জলিকা ব্যাপার গুরুতর দেখিয়া উদয় সিংহ এবং রানী লক্ষ্মীবাঈকে বলিয়া কন্যা-জামাতাকে চিতোরে আনয়ন করিলেন। চিতোরে আসিবার পরে লক্ষ্মীবাঈ কন্যাকে অনেক প্রকারে প্রবোধিত করিলেন। কিন্তু রুক্মিণীর একই কথা, “একটি প্রাণ কয় জনকে দিবা নূরউদ্দীনকে যে হৃদয় ধর্ম সাক্ষী করে দান করেছি, সেহৃদয় অন্যকে কেমন করে সমর্পণ করব?” DBD DDBDB DBDD BB D BBB DBDBD BDDD BB BDDDB DBDBD পড়িলেন। তথাপি রুক্মিণীর মন পরিবর্তনের জন্য অনেক পূজা এবং হােম করা হইল। কত রকম মন্ত্র-তন্ত্র ছিটে-ফোটার যে শ্ৰাদ্ধ হইল, কে তাহার ইয়ত্তা করিবে? কিন্তু রুক্মিণীর মতি-গতির কিছুমাত্রও পরিবর্তন ঘটিল না। রুক্মিণী সূৰ্যমুখীর ন্যায় একনিষ্ঠ এবং নলিনীর ন্যায় একৈকচিত্তই রহিল। যৌবনের খর চাঞ্চল্য, ভোগের কামনা, বিলাস-বাসনা, ইন্দ্ৰিয়ের উত্তেজনা, গুরুজনদিগের গুরু গঞ্জনা, পরিচালিকাদিগের নিন্দা-ঘৃণা কিছুতেই তাহাকে নূরউদ্দীনের প্রেম হইতে একবিন্দুও টলাইতে পারিল না। রুক্মিণী দেবপূজার ধ্যানে এবং পুস্তকপাঠে তাহার জীবনের ব্যাকুল ও উদ্বিগ্ন দিনগুলিকে ক্রমশঃ ধীর ও সংযতভাবে কাটাইতে লাগিল । বাহিরের চাঞ্চল্য ক্রমশঃ হৃদয়ের কোণে জমাট বাধিতে লাগিল। তরুণী তারুণ্যকে গাম্ভীৰ্য দিয়া কতকটা ঢাকিয়া ফেলিলেন। সকলেই বুঝিল, ধর্ম-চৰ্চা এবং ব্ৰহ্মচৰ্য করিয়া রুক্মিণী জীবন-বেলা কাটাইয়া দিবার জন্য বিশেষরূপে প্ৰয়াস পাইতেছেন। রুক্মিণীর এই ধর্ম-চর্চা এবং গভীর ভাব দেখিয়া রাণা এবং রানী উভয়েই দারুণ অন্তর্দাহকার দুঃখের অন্ত মধ্যেও একটা সান্ধনা লাভ করিলেন। দশম পরিচ্ছেদ সন্ধ্যা প্ৰায় সমাগত। সূৰ্য্যমণ্ডল রক্তরাগ ধারণ করিয়াছে। সোনালী কিরণে আকাশের গায় মেঘের অঙ্গে কত রং-বেরঙ্গের চিত্র সৃষ্টি হইতেছে। সারাদিন উষ্ণ Ro