পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আীয়-স্বজন-গণের মুখ বিষাদে মলিন হুইয়া গিয়াছে। ৱানী লক্ষ্মীবাঈ কপালে হাত দিয়া গৃহকোণে ভাবিতেছেন, জামাই আসিয়াছেন, পরম সুখের বিষয়। কিন্তু হায়! কন্যা যে জামাইয়ের নাম শুনিয়াই যার-পর-নাই স্নান ও ক্ষুন্ন হইয়া পড়িয়াছে। রুক্মিণী প্ৰাণান্তেও জয়পুরে যাইতে রাজী নয়। সখীরা এবং রানী অনেক বুঝাইলেন; কিন্তু রুক্মিণীর সেই একই কথা! সে ধর্ম ও সতীত্ব নাশ করিতে পরিবে না। নূরউদ্দীনই তাহার একমাত্র স্বামী। প্ৰাণান্তেও সে অপর পুরুষের মুখ YDB DDB DBSSBB DD DBDB DB BDL LLDD BBS D BDD ব্যাপার। কি ভয়ানক অবস্থা! তিন দিন পৰ্যন্ত অরুণসিংহ চিতোরে অবস্থান করিলেন। রাণা উদয়সিংহ জামাতাকে আদর-অভ্যর্থনায়, যত্ন ও সমাদৱে প্ৰাণপণে সন্তুষ্ট করিবার চেষ্টা করিলেন। রুক্মিণীকে ত্যাগ করিয়া যাইবার জন্য অনেক অনুরোধ-উপরোধ করিলেন। কিন্তু অরুণসিংহের সংকল্প টলিল না। তিনি রুক্মিণীকে না লইয়া বাটি ফিরিবেন না। স্বেচ্ছায় রুক্মিণীকে দান না করিলে, যুদ্ধ করিয়া জবরদন্তিপূর্বক তাহাকে লইয়া যাইবেন । জামাতার সংকল্প উদয়সিংহ নিতান্ত বিচলিত হইলেন। জামাতার সহিত যুদ্ধ হইলে কলঙ্কে দুনিয়া ভরিবে। রাণা উদয়সিংহ দুঃখে ক্ষোভে যায়-পর-নাই মর্মাহত এবং ব্যাকুল হইলেন। পিতা আত্মহত্যায় প্রদুত দেখিয়া অবশেষে জয়পুৱে যাইতে স্বীকৃত হইলেন। জয়পুর-রাজকুমার, যথাসময়ে রুক্মিণীবাঈকে লইয়া স্বরাজ্যে গমন করিলেন। রুক্মিণীর সঙ্গে তাহােৱ সখী অপর্ণা পাঁচজন দাসী সঙ্গে লইয়া গমন করিল। রুমী খার জয়পুর রাজধানী দেখিবার জন্য নিজের আগ্রহ ছিল। এক্ষণে জয়পুরপতি, জয়পুরের কেল্লা ও সৈন্য পরিদর্শনের জন্য তাঁহাকে সাদর আহবান করায়, এই সঙ্গে তিনিও গমন করিলেন। স্বাদশ পরিচ্ছেদ মালবের সুলতান রোকনউদ্দীন গুজরািটপতি সুলতান আহমদ শাহের কন্যার সঙ্গে নূরউদ্দীনের বিবাহ স্থির করিয়াছিলেন। তিনি মনে করিয়াছিলেন যে, নূরউদ্দীন তাহার কার্থে কিছুতেই অসম্মত হইবে না। বিশেষঃ, গুজরাটের শাহজাদী যোৱাপ বে-মোছাল খুবসুরত এবং আকেলমন্দ, তাহাতে তাহাকে বিবাহ করিতে কুমার কখনই ওজর করিবেন না। কিন্তু কুমার নূরউদ্দীন যখন একেবাৱেই কঠোরভাবে Rà)