পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড খণ্ড করিয়া ঝড়ে উড়াইয়া কোথায় লইয়া গেল। লোকজনের মধ্যে মহাশোরগোল এবং মহামারী কাও পড়িয়া গেল। এদিকে ক্ষুদ্রকায়া শিপ্রা নদী প্রবল বারিধারায় পূর্ণগর্ত হইয়া তটদেশ বিপ্লাবিত করিয়া ফেলিল। রাজকুমারের তালু সহসা জলপ্লাবনে উৎপাটিত হইয়া কোথায় অসিয়া গেল। রাজকুমার জলে রাজকুমারী রুক্মিণীর তাম্বুতেও ভীষণ বেগে জলস্রোত প্ৰবেশ করিল! জিনিসপত্রসহ তাম্বুটি মুহূৰ্তমধ্যে জলসাৎ হইয়া ভাসিয়া গেল। তৃত্য ও নওকরুগণ তাম্বু রক্ষার জন্য যাহারা প্ৰাণপণ চেষ্টা করিতেছিল, তাহারাও তীব্র যেতে ভাসিয়া গেল। কুমার এবং রুমী খী সেই ভীষণ দুৰ্যোগের মধ্যে রুক্মিণীর তত্ত্ব লাইবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু রুক্মিণীর কোন তত্ত্ব পাওয়া গেল না। বিষম আশঙ্কা-উদ্বেগ এবং দুৰ্যোগের মধ্যে ক্রমশ রজনী প্ৰভাত হইল। অশান্ত প্ৰকৃতির উদাম আস্ফালনের পরে-তাহার প্রশান্ত নীল গগন-ভালো উষার মালােবরেখা ফুটিয়া উঠিল। গাছে গাছে পাখীরা গাঢ় বড় দিয়া ভাকিয়া উষালোক প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রুক্মিণীবাঈয়ের জন্য মহা খোজ পড়িয়া গেল। নদীর তীর ধরিয়া অনেক দূর অনুসন্ধান করা হইল। কত লোকের লাশ পাওয়া গেল, কত অর্ধমৃত জীবনমৃত লোককে টানিয়া তুলিয়া উদ্ধার করা হইল; কিন্তু হয়। হতভাগিনী রুক্মিণীকে খুজিয়া পাওয়া গেল না। অরুণ সিংহ এবং রুমী খাঁ যার-পর-নাই মর্মাহত হইয়া পড়িলেন। কোন মুখে কি বলিয়া তােহাৱা মুখ দেখাইবেন? স্বামী বঁচিয়া থাকিতে পত্নীকে জলস্রোত DBDDDB DBD LBY DD BBB DD DDBDSDSTDBD BBBL0 নিমজিত হইয়া ভাসিয়া গেল। এ লজ্জা, এ কাপুরুষতা, এ কলঙ্কের যে কিছু ইয়াত্তা নাই! যে মুনিবে সেই বলিৰে, “কাপুরুষোৱা নিজের জীবন লইয়াই ব্যস্ত ছিল! নারী-পত্নী-রাজকন্যা-প্ৰভু-কন্যাকে রক্ষা করিতে পারে নাই, করিবার কোনও চেষ্টা করে নাই!” পুরুষের পক্ষে, বিশেষতঃ বীরের পক্ষে ইহার অধিক কলঙ্ক আর কি আছে? এ কলঙ্ক অপেক্ষা মৃত্যু যে শতগুণে শ্ৰেয়ঃ। নিজের জীবনপাত করিয়াও রাজকুমারীকে বাঁচাইতে পারিলেও জীবন ধন্য হইত। হায়! ढ़ि ईौवन उभर्थ म३६द्धि दल ! ইত্যাকার চিন্তায় কুমার ও সেনাপতি এবং সহকারিগণ অত্যন্ত ৰিষন্ন এবং মলিন হইলেন । কিঞ্চিৎ আহার ও বিশ্ৰাম্যান্তে রুমী খাঁ এবং অরুণ সিংহ আবার ব্যাকুল চিত্রে 99