পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদা বৈশাখ-প্ৰত্যুষে রুক্সিণীবাঈ যখন উলঙ্গ হইয়া স্নান করিতেছিল, সেই সময় সন্ন্যাসী ঠাকুর হঠাৎ তাহাকে সে-অবস্থায় দেখিয়া কামজ-মোহে মুগ্ধ হন। পৃথিবীতে পুরুষের পক্ষে যুবতী যৌবনের ন্যায় মারাত্মক জিনিস আর কিছুই নাই। যুৱতী-যৌবনের মোহচক্ৰে পড়িয়া কত মহাত্মাই যে নরাধম সাজিয়াছে, কে তাহার ইয়াত্তা করিবে? সর্বানন্দ স্বামী প্ৰথমতঃ স্বকীয় অন্তরের দুর্বলতা দেখিয়া ভয়ে শিহরিয়া উঠিলেন। অনেক চেষ্টা করিয়াও পাপ মোহের কালিমা হইতে অন্তঃকরণকে নির্মল ও পূর্ববৎ পরিশুদ্ধ করিতে পারিলেন না। লালসাবিবেক ক্রমশঃ বলবতী হইয়া উঠিল। স্বামীজি জিতেন্দ্ৰিয় এবং বিবেকবান লোক शिनन। ििन अशिणन, कृबिगैत्र (शोदम३ ऊंशद्ध शैक्नानै उनमा भाि করিবার উপক্ৰম করিতেছে। DDDB BDB BDDDSBBLDTDB DD DBBDD DBB D DBB BBB চাঞ্চল্য জনাইয়া দিয়াছে, তখন তাঁহার শিষ্যদিগের সর্বনাশ সাধন অনিবাৰ্য। সন্ন্যাসী ঠাকুর আরও লক্ষ্য করিয়াছিলেন যে, ইতিমধ্যেই শিষ্যদিগের কাহারও কাহারও মনে উদ্বেগ ও চাঞ্চল্যের সকাৱ হইয়াছে। সুতরাং তিনি নিজের শিষ্যদিগের এৰং শিষ্যা রুক্মিণীর কল্যাণের জন্য এবং কালীর বির লাভার্থ রুক্মিণীকে বলি দিবার জন্য সমুদ্যত হইলেন। সম্মুখের কালবৈশাখী-অমাবস্যায় বিরাট ঘটায় দেবীর পূজা হইবে। আর সেই রাত্ৰিই মহাকালীর মহাপূজায় মহাজীবের মহাবলি দ্বারা মহাপুণ্য সঞ্চয় এবং ডাকিনী-যোগিনীদিগকে বশ করিবার জন্য সন্ন্যাসী ঠাকুর অতুল শক্তি লাভ কৱিৰেন। অন্ধ ধর্ম-বিশ্বাস এবং কুসংস্কার চিরকালই মানুষকে যার-পর-নাই মূঢ় করিয়া তোলে। বিচারশক্তি একেবারেই নির্মূল করিয়া দেয়। এই জন্য বড় বড় ধর্মপ্ৰাণ পুরুষদিগের মধ্যেও নানাবিধ কুসংস্কার দেখিতে পাওয়া যায়। ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিশুদ্ধ জ্ঞান-বিজ্ঞান-চর্চা এবং মহানুভবতা সম্মিলিত না হইলে, ধর্মবিশ্বাস মানুষকে অনেক সময়ই অধর্মের গভীর অন্ধকারেই টানিয়া লইয়া যায়। এই জন্যই জগতের সার্বভৌমিক, এবং সার্বজনীন মহাপয়গম্বর হজরত মোহাম্মদ (দঃ) ধর্ম লাভের সঙ্গে শিক্ষা লাভের জন্য কঠোর আদেশ করিয়াছেন। সুশিক্ষার হলে হৃদয়তুমি কৰ্ষিত না হইলে, ধর্মের বীজ কখনও অকুরিত এবং যথাযথভাৰে পুম্পিত ও কলিত হয় না। ধর্ষ লাভের জন্য সংসার ত্যাগ করিয়া সর্বানন্দ ঠাকুর সন্ন্যাসী হইলেও, বিশ্বাসগত কুসংস্কারের বশীভূত হইয়া ভক্তিপূৰ্ণ ঘোণে নারীহত্যারূপ মহাপাতকোত্ৰ জন্য সম্যক প্ৰস্তুত হইলেন। হায়! করুণাময় মঙ্গল-কারণ ৰিশ্ববিধাতা যে, কোনও জীব-হত্যায় সন্তুষ্ট হওয়া দূরে থাকুক, ৰৱং কোনও জীব-জন্তুকে পীড়ন করিলে, সে পীড়ন যে