পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিতোর এবং জয়পুরের ঘরে ঘরে কীর্তিত হচ্ছে। তিনি পুণ্যশীলা তপস্বিনী। তাঁর একনিষ্ঠ ধৈৰ্য এবং ত্যাগ সর্বতোভাবে কীর্তনীয়। খোদা তাঁকে রহম করুন! কুমার ; আমরা না-জেনে-শুনে যে-প্ৰতিজ্ঞা করেছিলাম, এক্ষণে তারই কঠোর ফলভোগ করছি। রাজকুমারী যদি অরুণসিংহকে স্বামিত্ত্বে ৰাৱণ করে নিয়ে দাম্পত্য-ধর্মে মন দিতেন, তা হলে হতভাগাকে আর দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হত না। তাঁর একনিষ্ঠতা এবং ব্ৰতপরায়ণতা দেখে আমিও তাকেই একমাত্ৰ কাম্য করে তুলেছি। কিন্তু হায়! আমাদের কামনা, আমাদের ব্ৰত সমস্তই বিফল হল। হয়। আর একবার যদি রুক্মিণীকে দেখেও মরতে পারতাম, তা হলেও শান্তিলাভ হতো। এ দপ্ত-হৃদয় শীতল হতো! তাঁর পুণ্য-দৃষ্টিতে এ দন্তু জীবন-কমল প্ৰস্ফুটিত হতো। অতঃপর সেনাপতি রুমী খাঁ কুমারকে নানা আশায় আশ্বন্ত এবং মধুর কথায় প্রশান্ত করিয়া কুমারী রুক্মিণীর অনুসন্ধানের জন্য শিপ্রাতািট বনে বনে গ্রামে গ্রামে ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন। পুণ্যাবতার শ্রীরামচন্দ্ৰ, পঞ্চবটী বনে আদর্শ সতী নারীকুলসত্তমা সীতা BDDB BDDD BB BBDB DBB BD D DD DDD BDBBDBD করিয়াছিলেন, শাহজাদা এবং রুমী খাঁ, উভয়ে মিলিয়া সেইরূপে শ্ৰীমতী রুক্মিণীর অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। ষোড়শ পরিচ্ছেদ ঠাকুর সর্বানন্দ স্বামী রূপসীকুলরানী রুক্মিণীকে মহামায়ার নিকট বলি দিবার জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প হইয়া পঞ্চ শিষ্যকে ডাকিয়া তাহাদিগের নিকট স্বীয় অভিপ্ৰায় ব্যক্তি করিলেন। সর্বনিন্দ স্বামী অত্যন্ত উগ্র ও কোপনস্বভাব ছিলেন। শিষ্যেরা তাঁহাকে ব্যাম্বের ন্যায় ভয় করিত। মুকুন্দ ও অক্ষয় অযোধ্যাবাসী এবং পরস্পর আত্মীয় ছিল বলিয়া তাহদের বিশেষ বন্ধুতা ছিল। গণপৎ ও মুধলকর উভয়েই মারাঠী; এজন্য তাহারাও পরস্পর বন্ধু ছিল। পহ্ম শিষ্য দেবকীনন্দন বাঙ্গালী ছিল। সকলের সাহিতই তাহার সম্ভাব ছিল। তবে সে কোনও দলভুক্ত ছিল না। সন্ন্যাসীর প্রস্তাব শুনিয়া দেবকীনন্দন ব্যতীত আর সকলেই শিহরিয়া উঠিল। হরকুমার বলিল, “পরে যদি এ ঘটনা প্ৰকাশ পায়, তা হলে বিলাসপুরের ফৌজদার প্রাণদণ্ড कसूदन ।।” 8V)