পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBB BDB BDB DDB BBS DDDD DDS DB DBDDBDD D uBB BD একটি ভীল ভৃত্যকে লইয়া শুন্য বৃক্ষ ছেদন করিতেছিলেন। সহসা অচিন্তিত এবং অশ্রুতপূর্ব ভাবে ঘোড়ার আর্ত-কণ্ঠস্বর শুনিয়া কুঠার-হন্তে দ্রুতবেগে আওয়াজ লক্ষ্য করিয়া অগ্রসর হইলেন। উপস্থিত হইয়া যাহা দেখিলেন, তাহাতে তিনি আতঙ্কিত হইয়া পড়িলেন। ব্যাঘটি শিকারীর দক্ষিণ বাহু ভীষণভাবে কামড়াইয়া ধরিয়াছে। শিকারী বাম হন্তে কেবল ধনুকের দ্বারা ব্যাঘািটকে বৃথা নিবারণের চেষ্টা করিতেছেন। নূরউদ্দীন কুঠার উত্তোন মাত্র বাঘিনীটি তাঁহার উপর লাফাইয়া পড়িল। বাঘিনীট লাফাইয়া পড়া মাত্র নূরউদ্দীন তাহার মন্তকে কুঠারের এমন নিদারুণ আঘাত করিলেন যে, বাঘিনীর মস্তক দ্বিখণ্ড হইয়া গেল। অতঃপর বাঘটাকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হওয়ায় সে উর্ধ্বশ্বাসে বনের ভিতরে পলায়ন করিল। ভীল যুবক গাছ কাটিবার গুরুভার দা লইয়া তাহার পশ্চাদনুসরণ করিল, কিন্তু কোনও সন্ধান না পাইয়া ফিরিয়া আসিল । সুলতান গুরুতররূপে আহত হইয়া অচৈতন্য হইয়া পড়িয়াছিলেন। নূরউদ্দীন স্কন্ধে করিয়া তাঁহাকে বহন করতঃ আশ্রমে লইয়া আসিলেন ৷ ভীল যুবক তাড়াতাড়ি অশ্বটির মস্তকে পটি বাধিয়া তাহাকেও আশ্রমে টানিয়া আনিল । নূরউদ্দীন এবং রুক্মিণী প্ৰাণপণে সুলতানের সেবা করিতে লাগিলেন। পটি বাধিয়া এক জাতীয় বন্যলতা ছোচয় তাহার রসে পটি ভিজাইয়া দিলেন। দীর্ঘকাল জল সিঞ্চন এবং বায়ু ব্যজন করিবার পরে সুলতান ঈষৎ চৈতন্য প্রাপ্ত হইলেন। কিন্তু দারুণ যন্ত্রণায় আবার মৃত্যুবৎ অচেতন হইয়া পড়িলেন। সখিনা গোশতের শুরুয়া রন্ধন করিয়া পুনঃ পুনঃ একটু একটু করিয়া খাওয়াইতে जनि । এক দিন পরে রোরুদ্যমানা বেগম কয়সারজাই লোকজন লইয়া অনুসন্ধান করিতে করিতে নূরউদ্দীনের আশ্রমে আসিয়া সুলতানের শোচনীয় অবস্থা দেখিয়া কাঁদিতে লাগিলেন। নূরউদ্দীন ও রুক্মিণী পূর্বে কেহই বুঝিতে পারেন নাই যে, তাহারা যাহার সেবা করিতেছেন, তিনি স্বয়ং সুলতান আহমদ শাহু। সুতরাং এক্ষণে তাহারা একটু কুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন। বেগমকে তাহারা নিতান্ত বিনয় ও সম্মানপূর্বক অভ্যর্থনা করিয়া কুটীরতলে মৃগচর্ম পাতিয়া আসন দান করিলেন। লোকজন বাহিরে বৃক্ষতলে আশ্রয় গ্রহণ করিল। তৃতীয় দিনে সুলতান চৈতন্যপ্রাপ্ত হইয়া দুপ্তপানের অভিপ্রায় জানাইলেন। নূরউদ্দীন পূর্বেই সুলতানের জন্য দুগ্ধ সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিলেন। সুলতান দুগ্ধ পান করিয়া উঠিয়া বসিলেন। নূরউদ্দীন যেরূপ সহসা উপস্থিত হইয়া ভীষণ বিক্রমে ব্যাঘ্ৰ নিধন করিয়া তাহার জীবন র্যাচাইয়াছিলেন, তাহা বেগম ও অনুচরদিগের নিকট আগ্রহের সহিত বর্ণনা (ኮ6አ