সহকারে মানা বণে ৱজিত করিয়া বৰ্ণনা করে। DDi BBDDGDtD DBD BDBDD DDBDDS DDD D gDB BDD কথোপকথন হইতে রুক্মিণী যে জয়পুর যুবরাজ অরুণ সিংহের পত্নী এই সমস্ত তথা বুঝিতে পারিয়াছিল। অরুণ সিং, মুকুম্বের নিকট সমস্ত বৃত্তান্ত শুনিয়া ক্ৰোধে জ্বলিয়া উঠিলেন। মুকুদ্ধের কথা বর্ণে বর্ণে সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিলেন। সর্বোপরি নূরউদ্দীন এবং রুক্মিণীর সম্মিলনই তাঁহার মৰ্মে মর্মে সহস্ৰ বৃশ্চিক দংশনের জ্বালা ঢালিয়া দিল। অরুণ সিংহ মনে মনে ভাবিলেন, “কি ভয়ানক এবং অসহ্য ব্যাপার! আমার বিবাহিতা পত্নী হইয়া আমাকে পায়ে ঠেলিয়া পরপুরুষের সহিত পীরিতি ভুঞ্জিতে নিবিড় বনে বাসস্থান নির্ধারণ করিয়াছে। এমন কুলটাকে তুষানলে দন্তু করিলেও মনের ক্ষোত মিটিতে পারে না!” রুমী খাঁ এই কার্যের সহায়ক বলিয়া তাহার প্রতিও হিংসার আগুন বারুদের ন্যায় জুলিয়া উঠিল। আর নূরউদ্দীন তাঁহার পত্নীকে ভুলইয়া যে রস বিলাসে প্রেমোচ্ছাসে বিজনবাসে যৌবনের মজা লুটিতেছে, তাহাকে তো কাচা চিবাইয়া খাইলেও মনের জ্বালা নিবারণ হয় না। 瞬 অরুণ সিংহ অনুতাপে এবং প্রতিহিংসায় উন্মত্ত হইয়া উঠিলেন। নিজ রাজ্যের এলাকা হইলে—সেই মুহুর্তেই উড়িয়া যাইয়া তাহার পরম শত্ৰু, প্ৰেম পথের কণ্টক, নূরউদ্দীন এবং রুক্মিণীকে ধরিয়া আনিয়া তিল তিল করিয়া আগুনে পোড়াইয়া মারিতেন। যে বিলাসপুরের বনে তাহাৱা বাস করিতেছে, তাহা গুজরাটের এলাকায় অবস্থিত, সুতরাং সেখানে প্ৰকাশ্যে অভিযান চলিবে না। অরুণ সিংহ অনুচর, বয়স্য এবং সেনাপতি লছমন সিংহের সহিত অনেক পরামর্শ করিয়া ঠিক করিলেন যে, গুপ্তভাবে যাইয়া হঠাৎ আক্রমণপূর্বক পাপিষ্ঠ ব্যভিচারদিগকে উপযুক্ত প্ৰতিফল দিতে হইবে। প্রকাশ্যে আক্রমণ করিতে গেলে গুজরাট এবং মালবপতির ক্রোধাভাজন হইতে হইবে। সুতরাং গুণ্ড আক্রমণের আয়োজন হইতে লাগিল। প্ৰসিদ্ধ পঞ্চাশজন রাজপুত যোদ্ধা সহ ছদ্মবেশে ভ্ৰমণকারী ব্যবসায়ী-রূপে যাইবার প্রস্তাব নির্ধারিত হইল। অৰিহশি পরিচ্ছেদ চৈত্র মাসের সন্ধ্যা। বেলা ডুবু ডুৰু প্ৰায়। পশ্চিমাকাশে অরুণরাগে রাজিত নানা বর্ণ হালকা মেঘের মেলা ৰসিয়াছে। মেঘগুলি মুহুমূর্ব আকৃতি পরিবর্তম করিয়া (Rክr
