পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহমদনগরে প্রত্যাবর্তন করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। কানমীশ্রম ত্যাগ করিতে তাপস-দম্পণ্ডি ঘোৱতীয় আপত্তি করিলেও সুলতান তাহাকে কৰ্ণপাত করিলেন না। রুমী খাও সুলতানের মতই দৃঢ়তার সহিত সমর্থনা করিলেন। অতঃপর সুলতাম নিজে দায়িত্ব স্বীকার করায় প্রেমিক-প্রেমিকা আহমদনগরে যাইতে সন্মত হইলেন। নূরউদ্দীন মহত্ব প্রকাশ্যপূর্বক অরুণ সিংহকে ক্ষমা করিয়া দেশে যাইবায় ৰবোৰন্ত করিয়া দিলেন । অনন্তর যথাসময়ে সুলতান আহমদনগরে প্রভাৰতন করিলেন। সুলতানের আদেশে দম্পতিযুগলের অভ্যর্থনার জন্য বিপুল আলোক, পুষ্প পল্লবসজ্জা ও বাদ্যোদ্যমে রাজধানী সজ্জিত, শোভিত ও মুখরিত হইল। মন্ত্রী ও শাহজাদাগণ আসিয়া দম্পতিকে অভ্যর্থনা করিলেন। অতঃপর নির্দিষ্ট দিবসে এক বিশেষ দরবারের অনুষ্ঠান হইতে লাগিল। সুলতান এই দরবারে মালবের সুলতান রোকনউদ্দীন এবং চিতোরের রাণা উদয় সিংহ উভয়কেই সত্নীক নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনয়ন করিলেন। নির্দিষ্ট দিনে বিপুল আড়ম্বরে এক মহাদরবারের অনুষ্ঠান হইল। সুলতান আহমদ শাহু এই দরবার রত্নখচিত সমুজ্জ্বল পোশাকে সজ্জিত করতঃ নূরউদ্দীন এবং সখিনাকে আনয়ন করিয়া তাহাদিগের পরিচয়ও একনিষ্ঠ প্রেমের ভূয়োভূয়ঃ প্ৰশংসা কীৰ্তনপূর্বক নূরউদ্দীন যেরূপভাবে তাঁহাকে ব্যাঘের হিন্ত হইতে বীরত্ব ও সাহসের সহিত রক্ষা করিয়া সেবা-শুশ্ৰষায় মৃত্যুর কবল হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহা সবিস্তার বর্ণনা করিলেন। বিরাট সভায় ‘ধন্য ধন্য' এবং সাবাস’ সাবাস রব পড়িয়া গেল। BBDBB LBDDD DDD DDuDLBDS DBDDD BBDBDDS DBBB D DD BDBD একনিষ্ঠ জ্বলন্ত প্রেমের মহিমা বৰ্ণনা করিয়া একটি সুললিত ও সারগর্ত কবিতা পাঠে সকলকে পুলকিত করিলেন। অনন্তর রাজকীয় প্ৰসিদ্ধ বক্তা আবদুল গফুর শিস্তানী অতুলনীয় বাগিতা ও অলঙ্কার ঘটাপূর্ণ এক সুললিত বস্তৃতায় কুমার ও কুমারীর একনিষ্ঠ প্ৰেম (এশকে সাদেকী), মহানুভবতা ও উদারতার সরস বর্ণনায় সকলের গ্ৰীতি বিধান করিলেন। অতঃপর শেখ উল ইসলাম হোসেন উদ্দীন শিৱাজী দম্পতি-যুগলের দীর্ঘজীবন কামনা করিলেন!। সর্বশেষে সুলতান আহমদ শাহ সভাস্থলে দণ্ডায়মান হইয়া বলিলেন, “সন্মানিত নবাব, রাজন্যবৃন্দ ও সত্যগণ! শাহজাদা নূরউদ্দীন এবং রাজকুমারী রুক্মিণী আমাকে যেরূপভাবে রক্ষা করে পরম যত্নে সেবা করেছিলেন, তার জন্য এবং তাদের নির্মল প্রেম ও আদশ । চরিত্রের জন্য চিতোরেশ্বরের যে অর্ধরাজ্য আমি পঞ্চদশ বৎসর পূর্বে জয় করে নিয়েছিলাম, তা এক্ষণে চিতোরেশ্বরের কন্যা সখিনা বেগম ও তার জামাতা নূরউদ্দীনকে উপহার-স্বরূপ প্ৰদান করলাম।” Won