পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উন্নতমনা বীরবার বখতিয়ার তৎসমান্তই রাজসভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিতরণ করিয়া দ্বীয় মহত্ত্বের পরিচয় প্রদানে অশেষ প্ৰশংসাতজন ও যশোর অধিকারী হইলেন। ফলতঃ, মোহাম্মদ বখতিয়ারের এই বিদ্যান্যতার শত্ৰুগণ মুণ্ড এবং মিত্ৰকুল অধিকতর অনুরক্ত হইয়া পড়িল । পরদিবস দিল্লীর রাজ-দরবার হইতে একটা লোহিতবর্গ তন্ম, একটি রণাঢ়ৱা এবং একটি সামরিক পতাকা-সহ বেহার এবং লক্ষ্মণাবতী প্রদেশে আধিপত্য স্থাপনের ভর মোহাম্মদ বখতিয়ারকে প্রদত্ত হইল। কেহ কেহ বলেন, সমুদ্রকৃলি পর্যন্ত বিস্তৃত গৌড় এবং বঙ্গদেশের নামই লক্ষ্মণাবতী, আবার কেহ কেহ বলেন, গৌড় হইতে বেহারের সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত প্ৰদেশকে লক্ষ্মণাবতী এবং গৌড়ের অপর প্রাপ্ত হইতে বেনারস এবং সমুদ্রকুল পর্যন্ত বিবৃত বিশাল ভূ-ভাগকে ‘বাঙ্গলা' বলে। প্রকৃতপক্ষে, শেষোক্ত বিভাগই তৎকালে বাঙ্গলা বলিয়া কথিত হইত। যাহা হউক, এই বাঙ্গালা এবং লক্ষ্মণাবতী প্রদেশ রাজা লক্ষ্মণরায়ের পুত্ৰ লক্ষ্মণেয়ের রাজ্য ছিল। বিজ্ঞ ঐতিহাসিকগণ লিখিয়া গিয়াছেন যে, নদীয়ায় লক্ষ্মণ রায়ের রাজধানী প্ৰতিষ্ঠিত ছিল’। রাজা লক্ষ্মণের শ্রী অত্যন্ত শুদ্ধমতী ছিলেন। ইনি প্রসবকাল উপস্থিতি-প্ৰায় হইলে, রাজ্যের খ্যাতনামা জ্যোতিষী পণ্ডিতগণকে আহবান করতঃ প্ৰসাব-সময়ের ফলাফল জিজ্ঞাসা করেন। জ্যোতির্বিদেরা গণনা-পূর্বক রানীকে অবগত করান, “যদি সন্তান এক্ষণে ভূমিষ্ঠ হয়, তা হলে নানারূপ কষ্ট এবং বিপদে পতিত হবে। আর যদি দুদণ্ড পরে জন্মগ্রহণ করে, তা হলে পরম সুখে চিরদিন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থাকবে।” রানী এতদ্ভবণে দাসী দিগকে আদেশ করিলেন, “যো-পর্যন্ত জ্যোতিষীদিগের কথিত শুভলগ্ন উপস্থিত না হয়, সে পর্যন্ত আমার পদযুগল উত্তমরূপে বন্ধনকাৱতঃ আমাকে অধোমুখ করে রাখি।” দাসীরা তৎক্ষণাৎ আদেশানুযায়ী কাৰ্য করিল। ক্রমে জ্যোতিষীদিগের কথিত শুভলগ্ন উপস্থিত হইল। রানী বন্ধন-মুক্ত হইলেন, এবং সন্তানও তৎক্ষণাৎ ভূমিষ্ঠ DDDS DD BB BDD DBD BK DBD BDBDBDD BB D সন্তানকে উদরে রক্ষা করার যন্ত্রণায় তৎক্ষণাৎ কালগ্ৰাসে পতিত হইলেন। রাজা লক্ষ্মণ এবং তদীয় সচিববৃন্দ নবগ্রসূত সন্তানের নাম পিতার নামানুসারে লক্ষ্মণেয় রাখিয়া প্ৰতিপালনার্থ জনৈক ধাত্রীর নিকট সমর্পণ করিলেন। লক্ষ্মণোয় ধনীপ্রযত্নে দিন দিন পরিবর্ধিত হইতে লাগিলেন, এবং যথাসময়ে বিদ্যাশিক্ষায় প্রবৃত্ত হইলেন। অতঃপর রাজা লক্ষণ রায়ের মৃত্যুর পর, বয়ঃপ্ৰাপ্ত অবস্থায় লাহ্মণের সিংহাসনে অধিরোহণ করিলেন। রাজা লাক্ষণের অশীতি বৎসৱকাল রাজ্যশাসন করেন। তিনি অত্যন্ত