পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়নাল নগিনা দোহে আনন্দ-উদ্যাসে বঁধি’ পরিণয়-পাশে, ফিরিলা স্বরাজ্যে ভাসিয়া আঁখির নীরে হয় হোসেন’ বলি । অভাগা বঙ্গের কবি শোকার্তা শিরাঞ্জী অনাহারে অনিদায় সহি নানা কেশ সুদীর্ঘ দ্বাদশ বর্ষে, বিধি-কৃপাবশে এই খানে মহাশিক্ষা করিলেক শেষ । অতঃপর তিনি কলকাতায় গিয়ে চীফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ সুইন হাে-র আদালতে আত্মসমৰ্পণ করেন। আদালতে তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলেন ব্যারিস্টার মিঃ বি. সি. চ্যাটার্জি। কিন্তু বিচারে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগে তাঁর প্রতি দু’বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, অর্থাভাবে হাইকোর্টে আপীল দায়ের করা সম্ভবপর হয়নি। ফলে, দীর্ঘ দণ্ডভোগের পর ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই মে তারিখে তিনি কারামুক্ত হন। তাঁর 'কারা-কাহিনী’ পরবর্তী কালে মাসিক সাধনা'থ ধারাবাহিকভাবে প্ৰকাশিত হয়েছিল। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই অক্টোবর বস্তানের ক্ষুদ্র শক্তি-চতুষ্টয় রাশিয়া ও বৃটেনের প্ররোচনায় তুরস্ক আক্রমণ করে। তুরস্কের সেই বিপদে ডাক্তার মোখতার আহ্মদ আনুসারীর নেতৃত্বে ইণ্ডিয়ান রেড ক্রিসেন্ট গঠিত হয় এবং তুরকে ‘অল ইণ্ডিয়া মেডিক্যাল মিশন' প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মিশনের বঙ্গীয় প্রতিনিধি-রূপে শিরাজী ২রা ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হতে রওনা হন। বোম্বাই হতে জাহাজ-যোগে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে সমুদ্র দর্শন করে তিনি যে ক্ষুদ্র কবিতাটি রচনা করেছিলেন, তা উপভোগ্য। সেই সমুদ্র-স্তোত্র থেকে কয়েক ছত্র উদ্ধৃত করছি ঃ 姆 ፵፡ হে অসীম নীল সিন্ধু! হে অনন্ত লীলার আকর। কার-প্ৰেম আকর্ষণে উচ্ছসিত তোমার অন্তর! অসীম নীলাম্বু মাঝে তরঙ্গের মারি কী নর্তন৷৷ #ी भश विक्रिया गौना, भब्रि! किंवा जैश आश्कनन! কতকাল হতে জুটি” গাহিতেছ। সঙ্গীত মহান, কী গভীর ভাবপূর্ণ, মুণ্ড যাহে কবির পরাণ । (፻፵ቕ-sዛፃ, ፵ማማ ማG, S¢ ጓ።) জাহাজ ২৭শে ডিসেম্বর আলেকজান্দ্ৰিয়া হয়ে ৩১শে ডিসেম্বর কনস্টান্টিনোপল পৌঁছে। তাঁর ‘তুরঙ্ক-ভ্ৰমণ (১৯১৩) পুস্তকে তিনি সেই সফর কাহিনী সরস ভাষায় বর্ণনা করেছেন। ৰন্ধান শক্তিপুঞ্জের অত্যাচার, তুর্ক বাহিনীর বিপর্যয়, Հ@