পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসুরের সহিত প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের সম্মুখে প্রশান্ত নাট-মন্দির। নাট-মন্দির বিবিধ সজায় সজ্জিত। উহাতে ঝাড়, ফানুস, লন্ঠনের সঙ্গে সুপৰ্ব্ব কলার কাদী ও রঙ্গীন কাগজের ফুলের ঝাড়ও বুলিতেছে। দিল্পীর চিত্রকরদের অঙ্কিত কয়েকখানি সুন্দর পটও সোনারূপার কাঠাম বা ফ্রেমে শোভা পাইতেছে। দলে দলে লোক পূজা-বাড়িতে আসিতেছে ও যাইতেছে। নানা স্থান হইতে ভারেভারে ফলমূল তরিতরকারি অনবরত আসিতেছে। মন্দির দক্ষিণ-দ্বারী। মন্দিরের পূর্ব-পার্শ্বে একটি প্রকাও ফল-ফুলের বাগান। সেই বাগানের পূর্বে একটি ইষ্টক-মণ্ডিত পথ। সে পথের নীচেই স্বচ্ছ-সলিলা ইচ্ছামতী কল কল করিয়া দিবারাত্রি আপন মনে প্রবাহিত श्रेशा यादेऊछ् । নদীর ঘাট অনেক দূর পর্যন্ত সুন্দরীরূপে বাঁধান। নৌকাযোগে নানা স্থান হইতে নানা দ্রব্য আসিয়া ঘাটে পৌঁছিতেছে। আর ভারীরা তাহা ক্রমাগত ভুইয়া-বাড়িতে DDDD DDD DDD DDBLLDSS BB BBBB gBBS B SDSD DD BBB রহিয়াছে। ঘাটে রাজবাড়ী ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য বাটীর বহু স্ত্রীলোক স্নান করিতেছে। এলায়িত-কেশা, সিক্ত-বস্ত্ৰা পদ্মমুখী শ্ৰীমতীদের মুখে বাল তপন তাহার কিরণ মাখাইয়া সৌন্দর্যের লহরী ফুটাইযা তুলিয়াছে। কোন রমণী গ্ৰীবা হেলাইয়া দীর্ঘ কুন্তলরাশি সাজিমাটী ও খৈল-সংযোগে পরিষ্কার করিতেছে। কোন নারী কাপড় ধুইতেছে। বালিকার দল পা নাচাইয়া জল ছিটাইয়া সাঁতার কাটিতেছে। যুবতীরা ঈষৎ ঘোমটা দিয়া আবক্ষ জলে নামিয়া শরীর মর্দন করিতেছে এবং মাঝে মাঝে আড়চক্ষে সম্মুখ দিয়া নীেকায় কাহারা যাইতেছে, তাহা দেখিয়া লইতেছে। প্রবীণর ঘাটে বসিয়া কেহ কেহ সূৰ্যপূজার মন্ত্র আওড়াইতেছে। কেহ কেহ পিতলের ঘাঁটি ও কলসী মজিয়া এমন ঝকঝকে করিতেছে যে, উহাতে সূর্যের ছবি প্রতিবিম্বিত হইয়া ঝলমল করিয়া সোনার ন্যায় জ্বলিতেছে। হায়! মানুষ নিজের মনটি যদি এমনি করিয়া মাজিত, তাহা হইলে উহাতে বিশ্ব-সূৰ্য পরমেশ্বরের জ্যোতিঃপাতে কি অপূর্ব শোভাই না ধারণ করিত! মানুষ নিজের ঘটি-বাটী, এমন কি জুতা জোড়াটি যেমন পরিষ্কার রাখে, মনকে তেমন রাখে না। অথচ মানুষই সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান । কোন যুবতী স্নানান্তে কলসী কক্ষে সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠতেছে। ঘাটের দক্ষিণ-পাশ্বে কতিপয় পুরুষও স্নান করিতেছিল। একটি প্রফুল্প মূর্তি ব্ৰাহ্মণ পৈতা হাতে জড়াইয়া মন্ত্র জপ করি৩েছে। তাহার পাৰ্থে ফুটন্ত গোলাপের মত একটি শিত নানান্তে উলঙ্গ হইয়া দাড়াইয়া আঙ্গুল চুষিতেছে এবং এক দুটে বুদ্ধ স্বাক্ষণের জািপ, মন্ত্ৰ-ভঙ্গী এবং জল ছিটান দেখিতেছে। বোধ হয়, তাহার কাছে এ-সমস্তই অর্থশূন্য অথচ কৌতুকাবহ মনে হইতেছে। সে এক এক বার মনে মনে ভাবিতেছে যে, তাহার ঠাকুরদাদা জল লইয়া এক রকম খেলা করিতেছে। br ፃ