পাতা:সুকথা - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ईरकों ४७ ॥ এবার বৃত্তিলাভ ঘটিল না । পরীক্ষার পর দিগম্বরের মাতাঠাকুরাণী আঁহাকে চাকরি লইতে বাধ্য করিলেন । ৬০১ টাকা বেতনে তিনি বহরমপুর স্কুলের হেডমাষ্টারী পদ গ্ৰহণ করিলেন । তিনি প্রায়ই বলিতেন, এই ৬০ টাকা বেতনে চাকরি করার কালে তিনি যেরূপ সুখী ছিলেন, জীবনে আর সেরূপ সুখ ঘটে নাই | এক বৎসর মাত্র তিনি মাতৃপাদপদ্ম পূজা করিতে পাইয়াছিলেন, মাতার কথা কহিতে বৃদ্ধকালেও তাহার কণ্ঠ স্নেহে কাতর হইত, তিনি শিশুর মত হইয়া যাইতেন । এক বৎসর পরে মাতৃবিয়োগ হইলে, তিনি ওকালতি পাশ করিয়া প্ৰথমতঃ ২৪ পরগণায় আসিলেন; তথায় হাঁপানি রোগের অত্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ায়, দিগম্বর ফরিদপুরে ওকালতী আরম্ভ করিলেন ।