দিয়ে তার পর একটা চামড়ার উপর ক্ষুর ঘষে ঘষে ধার দিয়ে, কচ্কচ্ করে—হু—কচ্কচ্ করে—
পটলা—কচকচ্ করে চালিয়ে দিল।
বিশু-বুলিয়ে গেল। না, তা হলেও হয় না—
হারু-কচ্কচ্ করে সব সাবাড় করে দেয়।
মামা- বেশ, বেশ, এই তো চমৎকার হচ্ছে। হুঁশিয়ার থাকা চাই আর চট্পট্ কথা জোগানো চাই। আচ্ছা, তোর বড়দা আসবে কবে?
হারু - (মাথা চুলকাইয়া) এই-আজকের দিনের পরের দিন।
মামা - দুপুরের ট্রেনে বুঝি?
হারু- না, বিকেল—ঐ যা! “ল' হয়ে গেল।
কালু- আমি খেলব। আমি ‘ঘ’ বলব না।
মামা তার চেয়ে বল না, হয়ে ময়ে ‘হ্ম’ বলব না? সব গোলমাল চুকে যায়।
কালু - তা হলে কোনটা বলব না বলে দাও।
মামা—আচ্ছা, ন’ বলিস নে। আয় দেখি –ওয়ান টু থ্রি-খেলাটা বুঝতে পেরেছিস তো?
কালু - হ্যাঁ।
মামা –কিরকম বুঝেছিস বল তো—
কালু– খুব ভালো।
মামা-(ভ্যাংচাইয়া) খুব ভালো। তুই কথা বলতে শিখেছিস কবে থেকে?
কালু —ছেলেবেলা।
মামা-আর এই বুড়োবেলায় বুঝি বোবামি শিখেছিস?
কাল - দ্যুৎ!
মামা- এটা দেখি আচ্ছা ট্যাটা মুখ বুজেই থাকবে। ওরে, একটু কথা-টথা বল, চুপ করে থাকলে কি খেলা হয়?
কালু-(অনেক ভাবিয়া) মামা, তুমি কি খাও?
মামা –তোমার মাথা খাই। গাধা কোথাকার। বলি ঝগড়ার সময় কি তুই ঘাড় গুঁজে চুপ করে থাকিস্?
কালু -উঁহু।
মামা – কি করিস তা হলে?
কালু- ঝগড়া করি!
মামা – (চটিয়া) ঝগড়াটা কিরকম শুনি—(জিভ কাটিয়া) হ্যাঁ, কিরকম বল তো।
অমনি সকলের তুমুল চীৎকার –“ন” বলেছে—মামা 'ন' বলেছে—মামা কালুর সঙ্গে হেরে গিয়েছে।”
মামা বললেন, “যা! তোদের আর খেলাটেলা কিছু শেখাব না—তোরা বেজায় ফচ্কে হয়েছিস!”