পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিবিধ কবিতা

এ-সব কথা শুনলে তোদের লাগবে মনে ধাধা,
কেউ-বা বুঝে পুরোপুরি কেউ-বা বুঝে আধা।
কারে-বা কই কিসের কথা, কই যে দফে দফে,
গাছের পরে কঁঠাল দেখে তেল মেখো না গোফে।
একটি-একটি কথায় যেন সদ্য দাগে কামান,
মন-বসনের ময়লা ধুতে তত্ত্বকথাই সাবান।
বেশ বলেছ, টের বলেছ, ঐখেনে দাও পাঁড়ি
হাটের মাঝে ভাবে কেন বিদ্যে বোঝাই হাঁড়ি।

 এই পর্যায়টিকে বিবিধ কবিতা, ছড়া, মহাভারত ও অতীতের ছবি এই চারটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে সুকুমার রায়ের এ যাবৎ প্রাপ্ত অবশিষ্ট সমস্ত কবিতাই প্রকাশিত হল। বৈশাখ ১৩২১ থেকে মাঘ ১৩২৭ পর্যন্ত সুকুমারের সম্পাদনায় সন্দেশ-পত্রিকাতেই এর অধিকাংশ কবিতা মুদ্রিত হয়। সম্পাদকের দশা’ সুকুমার রায়ের মৃত্যুর পর-ফাগুন ১৩৩১-এ সন্দেশে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ফাজিলের ডিকসেনারি এম, সি, সরকার প্রকাশিত রঙমশাল পুজাবার্ষিকী ১৩২৭-এ এবং কলিকাতা কোথা রে’ ন্যাশনাল বুক এজেন্সী প্রকাশিত সুভাষ মুখোপাধ্যায় সংকলিত ‘পাতাবাহার’ সংকলনগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। সন্দেশে প্রকাশিত কবিতাগুলির অধিকাংশই পরবর্তীকালে সিগনেট প্রেস প্রকাশিত সুকুমার রায়ের কাব্যসংকলন ‘খাই খাই’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কার্তিক ১৩২৫-এ প্রকাশিত সন্দেশে খাই খাই কবিতাটির নীচে ‘নূতন প্রকাশিত গ্রন্থ “পার্বণী’ হইতে এই কবিতাটি গৃহীত হইল। এই কথার উল্লেখ আছে। এই অংশের পাঠ-এ সন্দেশ-এর ‘পাঠ'কে অনুসরণ করা হয়েছে। কবিতাগুলিও মোটামুটি সন্দেশে প্রকাশ কালানুক্রমে বিন্যস্ত হয়।

 ছড়া অংশে প্রকাশের কালানুক্রম রক্ষা করা হয় নি। সুকুমার রায়ের অবশিষ্ট সমস্ত ছড়াই এই ‘অংশে'র অন্তর্ভুক্ত হল। এর মধ্যে টিক-টিক-টং' জ্যৈষ্ঠ ১৩০৪ সংখ্যার মুকুলে প্রকাশিত হয়। এর আগে তার আর একটি মাত্র বাল্য রচনা ‘নদী’ মুকুল জ্যৈষ্ঠ ১৩০৩-এ প্রকাশিত হয়েছিল। অন্য ছড়াগুলি সন্দেশে বেরিয়েছিল। শ্রীগোবিন্দ-কথা” শিরোনাম বিহীন অসমাপ্ত রচনা। হিজিবিজি খাতা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশিত সুকুমার সাহিত্য সমগ্রতে উল্লেখ আছে। রচনার তারিখ জানা যায় নি। আমরা প্রকাশিত শিরোনামই এখানে গ্রহণ করেছি।

 তীয় ও মহাভারত-আদিপর্ব সন্দেশ পত্রিকার অগ্রহায়ণ ও পৌষ সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এখানে ‘সন্দেশে’ মুদ্রিত পাঠকেই অনুসরণ করা হয়েছে।

 অতীতের ছবি—ইউ, রায় এণ্ড সন্স থেকে মুদ্রিত হয়েছিল। ১৩২৯ সালের সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মাঘোৎসব উপলক্ষে বালক-বালিকা সম্মেলনে পুস্তিকাটির প্রকাশ ও বিতরণ করা হয়েছিল। এই সময় সুকুমার প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন। ফাগুন ১৩২১ সংখ্যা সন্দেশে ‘লভ তারে জীব যতনে অতি। এই অংশ পর্যন্ত পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল। পরে সুবিমল রায় পুস্তিকাটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন।