মুকুমার শশিমুখী কহিল, “তার পর খেয়ে যখন অসুখ করবে ?” ততক্ষণে খুকী দুই হাতে দুইটী বড় বড় সন্দেশ তুলিয়া লইয়া মুখে পুরিবার উদ্যোগ করিতেছিল। সুরেশ হাসিতে হাসিতে কহিল, “ও সন্দেশগুলো খুব ভাল, ও খেলে খুকীর অসুখ করবে না।” শশিমুখী কন্যা সম্বন্ধে আর কোন কথা বলিল না। জিজ্ঞাসা করিল, “হঁ্যা গো লাভ হ’ল কি করে শুনি, কুড়িয়ে পেলে না কি ?” সুরেশ হাসিয়া কহিল, “এক রকম কুড়িয়ে পাওয়া বৈ কি ?” পত্নী কি বলিতে যাইতেছিল, সুরেশ বাধা দিয়া কহিল, “শোনই না। আগে সব কথা, তা হ’লেই বুঝবে’খন। হরকুমারকে জান ত, আপিস থেকে বেরিয়ে খানিকদূর এসেছি, এমন সময় তার সঙ্গে দেখা, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হে এত তাড়াতাড়ি কোথায় চলেছ ? সে বল্লে, “আজ যে ঘোড়দৌড়, তুমিও চল না হে দেখে আসলে ।” অনেক দিন ধরে আমারও ঘোড়দৌড় দেখবার ইচ্ছে ছিল। তার সঙ্গে গেলাম ত মাঠে। পথে যেতে পেতে সে বলে, “আর শনিবারে খুব দাও মেরে দেওয়া গেছে, মোটে গোটা দশেক টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলাম, ফেরবার সময় একেবারে আড়াই শ টাকা নিয়ে ফিরলাম।” আমি আশ্চৰ্য্য হ’য়ে বললাম, ‘বল কি হে, তোমার মে প্ৰায় এক বছরের মাইনে, আচ্ছা কি করে খেলতে হয়, আমাকে শিখিয়ে দিও দেখি, দু এক টাকা খেলে দেখা যাবে।” ፃቑ
পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭৮
অবয়ব