পাতা:সুখশান্তির উপায় স্বরূপ যিশু-প্রণীত হিতোপদেশ.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ধর্মের প্রতিকুল লোকের দ্বারা সন্দেহিত ও বিতকিত হইতে পারে; বিশেষতঃ অলৌকিক কাৰ্য্যাfদর বর্ণৰ সকল আশিয়ার লোকের বিশ্বাসবৰ্দ্ধিনী হইবে না, কারণ অধিকতর অস্তুত কায্যের কম্পিত গণপ সকল পরস্পর ক্রমে তাহারদের মধ্যে প্রচলিত আছে। প্রভূতি, ধৰ্ম্মনীতি বিষয়ক উপদেশ, যদ্বারা স্পষ্টতঃই মনুষ্যকুলের মধ্যে শান্তি ও পরস্পর প্রীতি রক্ষিত হয়, তাছা ব্যর্থ তর্ক বিতর্কের আয়ত্ত নহে, এবং পণ্ডিত অপণ্ডিত সকলেরই বুদ্ধিগম্য, সন্দেহ নাই। যে এক পরমেশ্বর বর্ণ, পদ, বা বিভবের সন্ত্রম না রাখিয়া সকল জীবকে সমান ৰূপে পরিবর্তন, নিরাশ, দুঃখ, এবং মৃত্যুর অধীন করিয়া ও তাছার এই বিশ্বব্যাপ্ত করুণামৃত পানে সকলকেই অধিকারী করিয়াছেন, তাহার বিষয়ে এই ধৰ্ম্মনীতি বিষয়ক গ্রন্থ খানি লোকের মনে এমত উৎকৃষ্ট ও উচ্চভাব উৎপাদনে সমথ –এবং মনুষ্যগণের ভ্রষ্টার প্রতি, আত্ম প্রতি, এবং লোক সমাজের প্রতি যাবতীয় কৰ্ত্তব্য আছে, অহা নিযত করণার্থ ঈদৃশ উপযুক্ত, ষে বর্তমান আকারে ইহাকে প্রচার করিয়া আমি অত্যুৎকৃষ্ট ফলোৎপাদনের আশা করিতেছি । [ রামমোহন রায় । ]