পাতা:সুখশান্তির উপায় স্বরূপ যিশু-প্রণীত হিতোপদেশ.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ ×) একটি বস্তুবিসর্গ ও লুপ্ত হইবে না (২৪)। যে ব্যক্তি শাস্ত্রাজ্ঞা লংঘন করিয়া তদ্রুপ ব্যবহারে লোকের প্রবৃত্তি জন্মায়, সে পরলোকে ক্ষুদ্র পদ পাইবে ; কিন্তু যে ব্যক্তি শাস্ত্রানুসারে চলিয়া লোকদিগকে তদনুষ্ঠানে প্রবৃত্তি দিবেন, তিনিই সুখধামে মহত্তর হইবেন । আমি বলিতেছি, ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰাধ্যাপক ও ফিরুসিদিগের (২৫) অপেক্ষা তোমাদের সত্য ব্যবজীর যদি উৎকৃষ্টতর না হয়, তবে তোমরা সুখধামে প্রবেশ করিতে পাইবে না । ৪ । তোমরা শুনিয়াছ, প্রাচীনের বলিয়াছিলেন যে নরহত্যা করিবে না; এবং ‘ যে বক্তি নরহত্য করিবে, সে বিচারকের দ্বারা দণ্ড পাইবে । কিন্তু আমি বলিতেছি, কারণ ব্যতীত যে ব্যক্তি স্বীয় ভ্রাতার (২৬) প্রতি ক্রদ্ধ হয়, সে বিচারকের দ্বারা দণ্ডিত হইবে; যে ব্যক্তি ভ্রাতাকে নিৰ্ব্বোধ বলিরে, ধৰ্ম্মসমাজ তাহার প্রতি দণ্ড বিধান করিবেন ; এবং যে ভ্রাতাকে পাপী বলিবে, সে নিরয়াগ্নিতে (২৪) এই সকল শাস্ত্রে পরমেশ্বরের ষে অভিপ্রায় দেদীপ্যমান রহিয়াছে, তাহ অবশ্য সিদ্ধ হইবে —Livermore. ২ে৫) ধৰ্ম্মশাস্ত্রীধ্যাপক ও ফিরুসি, ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের ন্যায় লোক সকল, যাহার ধর্মিকাভিমানী, অথচ যথার্থ ধর্মের অনুষ্ঠান করে না। (২৬) ভ্ৰাত, সহস্থষ্টমনুষ্য মাত্র।