এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
সুনির্মল বসুর
দুপুর জুড়ে’
ঘুঘুর সুরে উদাস করে মন।
মাঠের পারে
ঘাটের ধারে তাল-সুপারির সার,
ঝাঁক্ড়া মাথা
কোঁকড়া পাতা নাড়ছে অনিবার।
হাওয়ায় কাঁপা চাঁপার ছায়ায় কঁপছে সবুজ ঘাস,
তারই পাশে ডাকছে ঝিঁঝি, শুনতে কি তা পাস?
থোপা-থোপা শ্বেতকরবী ঝরছে রে টুপ টুপ,
ছাতিম গাছের শুক্নো ডালে কাঠ-ঠোক রা চুপ।
বৈশাখী কোন্ বৈরাগী আজ গৈরিক-বাস গায়,
ঘূর্নি-পাকের ঘুরপাকেতে দিক্ কাঁপিয়ে যায়॥
ভরা-ভাদরে
কাল্চে মেঘের গাল্চে ঢাকা
আকাশখানা আজ যে;
দিনের বেলায় এলাম যেন
অন্ধকারের রাজ্যে।
গুরু-গুরু মেঘের ডাকে
দুরু-দুরু বক্ষ;
বর্ষা-ধারার বর্শা যেন
ঝরছে কোটি লক্ষ।