পাতা:সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১২৬
সুনির্মল বসুর

এ ধারেতে বসলো খেতে বরযাত্রী-দলে,
আসর জুড়ে হল্লা হাসি চলে।
রোগা-মোটা, লম্বা-বেঁটে, গুঁপো-টেকো-খাঁদা,
কেউ বা ফাজিল, কেউ বা বাচাল, কেউ বা নিরেট হাঁদা,
হরেক রকম বরযাত্রী বসলো সারি সারি;
পড়লো পাতে লুচি ও তরকারি।
কুড়ি জনের জন্যে যত লুচি পোলাও তৈরি ছিল ঘরে,
সবার পাতে কিছু কিছু দেওয়া হ’ল ভাগাভাগি ক’রে।
ফুরিয়ে যখন এসেছে তা—এমন সময় হরু
গোয়াল থেকে ছেড়ে দিল সভার মাঝে সবার চেয়ে
দুরন্ত এক গরু।


লেজ উঁচিয়ে, শিং বাঁকিয়ে আসলো গরু তেড়ে—
“ও বাবা রে, ফেললে বুঝি মেরে—”
খাওয়া ফেলে সবাই পালায়, গরুর গুঁতোয় অক্কা পাবে পাছে;
হরু তখন চেঁচিয়ে বলে—“বসুন, বসুন, দই-সন্দেশ আছে!”
শুনবে কে আর হরুর কথা, গরুর তাড়া খেয়ে
এক্কেবারে উঠলো সবাই ইষ্টিশানে যেয়ে।
এদিকেতে হয়ে গেল মেয়ের বিয়ে শুভ-লগ্ন দেখে,
পটলবাবু বেঁচে গেলেন কন্যাদায়ের থেকে।
হাসতে হাসতে হরু,
গোয়ালঘরে আটকালো ফের দুরন্ত সেই গরু॥