পাতা:সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৩০
সুনির্মল বসুর

রাজার কুমার অবাক হয়ে গাছের পানে তাকাতেই
দেখলে দুটি আজব পাখী উচ্চ গাছের শাখাতেই;
বললে কুমার—“তোরা কে?
আমায় এবং ঘোড়াকে—
একটু যদি পথের খবর বলতে পারিস্ এখানেই,—
বড়ই তবে কৃতার্থ হই, কিছুই হেথা দেখা নেই।”


ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীরা সঙ্গোপনে দুটিতে—
বললে—“আছে রাজার মেয়ে রাক্ষসদের কুঠিতে;
দেখতে বিকট তাহারা,
দিচ্ছে সদাই পাহারা,
সন্ধ্যা-বেলায় কেউ থাকে না—যাও যদি ঠিক বুঝিয়া—
অনায়াসেই পাবে সেথায় রাজকন্যায় খুঁজিয়া।”


ঠ্যাং-খোঁড়া সেই ঘোড়ায় চ’ড়ে ঠিক সন্ধ্যা-বেলাটায়,
হাজির হ’ল রাজার ছেলে রাক্ষসদের এলাকায়;
রাজপুত্রে শাসাতে
কেউ ছিল না বাসাতে,
রাজকুমারীর সাথে হ’ল রাজকুমারের পরিচয়,—
মালা বদল ক’রে তাদের হ’ল গোপন পরিণয়।


ফিরে এল রাজার কুমার নিজের দেশে পুলকে,—
বৌকে দেখে চৌদিকেতে ঠাট্টা করে কু-লোকে;
“ওমা, ওমা একি রে—
আজব ব্যাপার দেখি রে,
রাজকুমারীর হাত দুটো নেই”—সবাই বলে আসিয়া;
“আমারো তো ঠ্যাং দুটি নেই,”—কুমার বলে হাসিয়া॥