পাতা:সুবল সখার কাণ্ড - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Mo কাণুর কঁধে চড়ছে, তার কুড়ণো ফল খাচ্ছে,-ভগবান আর একটু ঘনিষ্ট হ’য়ে দেখা দিয়েছেন। শান্ত ও দাস্য এই দুটি ভাবকে আত্মসাৎ ক’রে সখ্যভাব, ভগবানের প্রতি ভক্তির রাজ্যে আরও একটু এগিয়ে এসেছে। চতুর্থ বাৎসল্য,-এটা ছেলেদের পিতৃমাতৃ ভক্তি নহে, সেটি হচ্ছে দাস্যভাব, ছেলে মা বাপের সেবা করে কৰ্ত্তব্যজ্ঞানে, কিন্তু বৈষ্ণবদের উৰ্দ্ধতন ভাব-রাজ্যে কৰ্ত্তব্যের এলাকা নাই, সেটা আনন্দের রাজ্য, রসের রাজ্য । ছেলের মধ্যে ভগবানকে আবিষ্কার করা হচ্ছে বৈষ্ণবদের বাৎসল্য ভাবে । যে শিশু আতুর ঘরে প্রথম দেখা দিলে, তার চাইতে আশ্চৰ্য্য-তার চাইতে চমৎকার জিনিষ কোথায় ? বেনে তার সোনার থলি ভুলে যায়, এমনই সে ধন । বাঘ, যার নিষ্ঠুরতা পাবাদ, কথার ন্যায়, সেই বাঘও যখন তার সদ্যঃজাত শাবকটি দেখে, তখন তার চোখের ভাব অন্য রকম হ’য়ে যায়, সমস্ত মাতৃ-করুণা সেই চোখের উপর আসন ক’রে বসে। শিশু দেখতে সুশ্ৰী কি কুগ্ৰী হ’ক, কিছুমাত্র আসে যায় না, পিতামাতার নিকট সে যেরূপে দেখা দেয়, তার মত সুন্দর ও চমৎকার আর কিছু হ’তে পারে না । এই শিশুর প্রতি মায়ের স্নেহ, শুদ্ধ রসের উৎস স্বরূপ, আনন্দ লোকের জিনিষ, স্বৰ্গীয়, অপার্থিব, অ-পূৰ্ব। পৃথিবীটা তো রোজ রোজই