পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গভীরে, তাকে পরিপূর্ণতা দিতে গেলে ভাবসংযমের দরকার। যে উপাদানে উচ্চ অঙ্গের মূৰ্ত্তি গড়ে তোলে তার মধ্যে প্রতিরোধের কঠোরতা থাকা চাই, ভেঙে ভেঙে কেটে কেটে তার সাধন । জল দিয়ে গলিয়ে যে মৃৎপিণ্ডকে শিল্পরূপ দেওয়া যায় তার আয়ু কম, তার কণ্ঠ ক্ষীণ । তাতে যে পুতুল গড়া যায় সে নিধুবাবুর টপ্পার মতোই ভঙ্গুর । উচ্চ অঙ্গের আর্টের উদেশ্ব নয় দুই চক্ষু জলে ভাসিয়ে দেওয়া, ভারাতিশয্যে বিহবল করা । তার কাজ হচ্ছে মনকে সেই কল্পলোকে উত্তীর্ণ করে দেওয়া যেখানে রূপের পূর্ণতা। সেখানকার স্মৃষ্টি প্রকৃতির সৃষ্টির মতোই ; অর্থাৎ সেখানে রূপ কুরূপ হতেও সঙ্কোচ করে না, কেননা তার মধ্যেও সত্যের শক্তি আছে, যেমন মরুভূমির উট, যেমন বর্ষার জঙ্গলে ব্যাঙ, যেমন রাত্রির তাকাশে বাদুড়, যেমন রামায়ণের মন্থরা, মহাভারতের শকুনি, শেক্স্পীয়ারে ইয়াগো । আমাদের দেশের সাহিত্য-বিচারকের হাতে সৰ্ব্বদাই দেখতে পাই আদর্শবাদের নিক্তি ; সেই নিক্তিতে তারা এতটুকু কুচ চড়িয়ে দিয়ে দেখে তারা যাকে আদর্শ বলে তাতে কোথাও কিছুমাত্র কম সুব ও সঙ্গীত ← Ꭹ ଚ୍ଯ