পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেয়েছে তখন আমি সকল কৰ্ত্তব্য ভুলে তাতে তলিয়ে গেছি। আমি যদি ওস্তাদের কাছে গান শিক্ষা করে দক্ষতার সঙ্গে সেই সকল দুরূহ গানের আলাপ করতে পারতুম তাতে নিশ্চয়ই সুখ পেতুম, কিন্তু আপন অন্তর থেকে প্রকাশের বেদনাকে গানে মূৰ্ত্তি দেবার যে আনন্দ সে তার চেয়ে গভীব । সে গান শ্রেষ্ঠতায় পুরাযুগের গানের সঙ্গে তুলনীয় নয়, কিন্তু আপন সত্যতায় সে সমাদরের যোগ্য । নব নব যুগের মধ্যে দিয়ে এই আত্মসত্যপ্রকাশের আনন্দধারা যেন প্রবাহিত হতে থাকে এইটেই বাঞ্ছনীয় । প্রথম বয়সে আমি হৃদয়ভাব প্রকাশ কববার চেষ্টা করেছি গানে, আশা করি সেট। কাটিয়ে উঠেছি পরে। পরিণত বয়সের গান ভাব-বাংলাবার জন্যে নয়, কাপ দেবার জন্য । তৎসংশ্লিষ্ট কাব্য গুলিও অধিকাংশই রূপের বাহন । কেন বাজাও কাকণ কন কন কত ছলভরে—এতে যা প্ৰকাশ পাচে তা কল্পনার রূপলীলা । ভাবপ্রকাশে ব্যথিত হৃদয়ের প্রয়োজন আছে, রূপ প্রকাশ অহৈতুক । মালকোষের চোতাল যখন শুনি তাতে কান্না হাসিব সম্পর্ক ふ)8 স্থল ও সঙ্গতি