পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই পত্রাবলীর একটি ক্ষুদ্র ইতিহাস আছে। ১৯৩৪ Fitzstā TĘfGH gūtē All-Bengal Music Competition and Conference-cast 2łos Gif:{{{*={ z}, রবীন্দ্রনাথ তার উদ্বোধন করেন । সেই সময় আমি লক্ষ্মেী থেকে অসুস্থ হয়ে কোলকাতায় চলে আসি । বন্ধুদের আহবানে এবং লোভের বশে আমি অধিবেশনে যোগ দিই । রবীন্দ্রনাথ আসছেন শুনে আমি তাকে একটি দীর্ঘ বক্তৃতা করবার অনুরোধ জনাই । তিনি সে-অনুরোধ রক্ষা করেন । র্তার বক্তব্য ছিল দুটি ; সঙ্গীত ও জীবন নিবিড়ভাবে যুক্ত, অতএব, জীবনের বিকাশ যেমন রূপবৈচিত্র্যে সংসাধিত হয়, সঙ্গীতেরও তেমনি অনুযায়ী অভিব্যক্তি নিতান্তই বাঞ্ছনীয় । হিন্দুস্থানী সঙ্গীতপদ্ধতির যুগোপযোগী রূপপরিবর্তন যদি কল্পনার অতিরিক্ত হয় তবে বুঝতে হবে যে তার মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গীতের ইতিহাসে যার যুগাপবৰ্ত্তক বিবেচিত হন তারা কখনও গতানুগতিক এবং আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের স্বজনীশক্তিকে আবদ্ধ রাখেননি । তার দ্বিতীয় বক্তব্য ছিল বাংলা গানের বিশেষ রূপ সঙ্গন্ধে । বাংলা গানের একটি স্বকীয়তা আছে—সেটি সুবের ও নয়, কথারও নয়, সুর ও কথার প্রকৃষ্ট মিলনের । তার রস ভিন্ন, কাবণ তার রূপ পৃথক । সুতরাং, বাংলা গানের ভবিষ্যৎ ওস্তাদের মুখের হিন্দুস্থানী রাগ-বাগিণীর অনুকরণের ওপর নির্ভর করছে না, পুনরাবৃত্তির ওপর ও না । এই দুটি বক্তব্য Ꮌ ᎽᏱ সুর ও সঙ্গতি