পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃতিত্ব, তার সব ঐশ্বৰ্য্য ঢেলে দেবেন কেন ? একটা ছায়ানটের স্থানে দশটা দশ রকম চালের ছায়ানট গাও, আমার অত্যন্ত ভাল লাগবে, কিন্তু একটি রচনায় ছায়ানটের সব রূপ দেখালে, তার সমগ্র বিভব ভ’রে দিলে, রচনার মর্য্যাদা, তার সঙ্গতি ও সৌষ্ঠব রক্ষা হয় কি ? রাত বারটা পৰ্য্যন্ত তিনি আমাদের সঙ্গে কথা কন । তখন আমি উত্তর দিতে পারিনি, আমার দীর্ঘ পত্রে উত্তর দেবীর প্রয়াস আছে । এই হল ‘সুব ও সঙ্গতি’র ইতিহাস । কিন্তু প্রশ্নগুলি সংঘাতিক—তাদেব উত্তরের ওপর সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের সম্ভোগ ও সমালোচনার প্রকর্ষসাধন নির্ভর করছে। শরং বাবুও দিলীপকুমারকে বলেছিলেন, ওস্তাদ গায় ভাল বলছ—কিন্তু থামতে জানে ত’ ? রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র যখন উভয়েই থামতে জানার প্রয়োজন স্মরণ করাচ্ছেন, তখন বুঝতে হবে যে বিরাম চাওয়ার মধ্যে অধৈৰ্য্য নেই, আছে উপভোগেব প্রকৃতিকে শুদ্ধ করবার উপদেশ, আছে সঙ্গীতে সঙ্গতিব সুনিশ্চিত ইঙ্গিত । আমাদের দেশে সঙ্গীত-সমালোচন। নেচ বল্লেই হয় । তার নানা কারণ। হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের এখন মুমধু অবস্থা —তার উন্নতি অসম্ভব ধারণাটাই তাক চিহ্ন । যখন স্বষ্টি অর্থাৎ অভিনব-রূপের বিকাশ চলছে, তখনই সমালোচনা জীবন্ত হয়। নচেৎ, ভাল লাগা না লাগাতেই বিচারের 2৮ সুব ও সঙ্গতি