পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুক্ত। সাহিত্যে তাই আজকাল আমরা বিশেষের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণের ওপরও ঝোক দিয়ে থাকি । কিন্তু সঙ্গীতে আমরা এখনও নিরালম্ব রয়েছি, তার বিশেষত্বে এবং চরম উৎকর্যে আমরা এতই আস্থাবান যে তার ওপর সাধারণ বিচারবুদ্ধির প্রয়োগকে অপ্রয়োজনীয় বিবেচনা করি । অন্য সভ্য-সমাজে সঙ্গীত আছে, সে দেশে সঙ্গীতের নতুন রূপ তৈরী হচ্ছে, এবং তার সঙ্গে সঙ্গীত-সমালোচনা অনেক দূর এগিয়েছে জানলে বোধ হয় আমাদের অবস্থার আংশিক উন্নতি সম্ভব । বলা বাহুল্য, বিদেশী সঙ্গীতপদ্ধতির অনুকরণ বাঞ্ছনীয় নয়। আমাদের ভূমিকা থেকে ভ্ৰষ্ট হলে আমাদের সঙ্গীতের উন্নতি অসম্ভব। তবে পূৰ্ব্বলিখিত দুটি কারণ ব্যতীত অন্যান্স যে-সব বিপত্তিব জন্য আমাদের ধ্রুবপদ্ধতি লোপ পেতে বসেছে তাদের দূর করার সঙ্গে সঙ্গে স্বষ্টির দিকেও ীেক দিতে হবে এবং সঙ্গীতকে যে অন্তান্ত কলাবিদ্যার মতন বিচার করতে হবে—এ কথা জোর করেই বলা যায়। অন্ত কলাবিষ্ঠার আলোচনায় সৃষ্টিব সমগ্র রূপ, তার অন্তর্নিহিত অনিবাৰ্য্য পরিণতির নীতি প্রথমেই বিচাৰ্য্য । কবি তাই সঙ্গীতের সীমা ও সঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলা দেশের সঙ্গীত সম্বন্ধে তার মতামত এই যে বাঙ্গালী অন্তকরণ করতে পারবে না, সে সৃষ্টি করবেই করবে, এবং তার সংস্কৃতি অনুসারে সে চলবেই চলবে । বাংলা দেশের সঙ্গীতের ধারাই হল সুব ও কথাল সমন্বয়-সাধনে ਨ੍ਹਾਉਿ | У о о স্থর ও সঙ্গতি