পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের একান্ত ভক্ত হয়েও তার চিরাচরিত পদ্ধতির মুক্তি চাই। মুক্তি, মৃত্যু নয়, কারণ বাচা মানেই চল । তালুকৃতির শিকল পরে বন্দীরাই খুড়িয়ে হাটে। স্বাধীন দেশের উপযুক্ত সঙ্গীত মন্ত্র-আওড়ানর মধ্যে খুজে পাওয় যায় না। আমি মুক্তি চাই বলেই আপনাব সঙ্গীতরচনার ঐতিহাসিক সার্থকতা ও অধিকার স্বীকার করি। সে-মুক্তি আমাদেরই মুক্তি জানি ব’লে আপনার রচনাকে বিদেশী সঙ্গীতের সঙ্গে তুলনা করি না ; আমাদেরই পরিচিত তান্ত সঙ্গীতের পাশে বসাই, তারই সঙ্গে যোগসূত্র খুজি । যখন নূতনের সঙ্গে পুরাতনের গরমিল দেখি তখন মাত্র গরমিলের জন্যই নূতনকে অবহেলা করি না ; আমাদের সঙ্গীতপদ্ধতির শ্ৰীক্ষেত্রে তাকে ঠাই দিই, হরজন বলে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করি না । আমার বিশ্বাস, আপনার সঙ্গীতকে সঙ্গীতের হরিজন বল্লে ও তার অপমান করা হয় না। ভারতীয় কৃষ্টিরক্ষার ভার যদি এতদিন কেবল পুরোহিত-সম্প্রদায়ের হাতেই থাকত, তাহলে সংস্কৃতির ধাবা এতদিন মরুতেই সারা হত । কিন্তু —হয়নি, হয়নি গো, সুর ও সঙ্গাত Σ & Vo)