পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেই কিংবা ব্যবহৃত কথা সম্পূর্ণ নিরর্থক, এবং যার একমাত্র উদ্দেশ্য রাগিণীর বিকাশ-সাধন । দ্বিতীয়তঃ, বন্দেশী, যাতে শব্দ আছে, শব্দের অর্থ আছে, যদিও রাগিণীর বিকাশ সেই অর্থের সারি গা মা-য় অনুবাদ নয়। বন্দেশী গানে বন্দেশ’ (con.position) অর্থাৎ রচনার মেজাজটাই (temper, mood) স্থরের বিকাশকে ধারণ কবে, তার রূপের কাঠামো যোগান দেয়, গতির সীমা নিৰ্দ্ধারণ করে। ধ্রুপদে এই বন্দেশী পদ্ধতির চমৎকার পরিচয় মেলে । কোন ধ্রুপদিয়া ( অনেক ধামারি ও ) গাইবার সময় তান বিস্তার করেন না । এমন কি অযথা বাটোয়ারার দ্বারা রচনার সৌকর্য্যকে বিধ্বস্ত করা ও ধ্রুপদে প্রশস্ত নয়। র্যারা পাকা-ঘরাণার খেয়াল গান, তারাও রচনার অন্তঃপ্রকৃতি বুঝে তানের সাহায্যে রচনারই রূপ উদঘাটিত করেন। ভীমপল শ্রীর দুটি বিখ্যাত খেয়াল আছে, ‘অব তো শুনলে’ ও ‘আবতো বঢ়ি বের । কিন্তু দুটির গঠন-সৌষ্ঠব পৃথক । যে খেয়ালিয়া বন্দেশের গঠন-তারতম্য না স্বীকার ক’রে স্বকীয় প্রতিভারই জোরে ভীমপলশ্রীর ঐশ্বৰ্য্য দেখাতে তৎপর সে সাধারণ-শ্রোতাকে চমক্‌ লাগাতে সুব ও সঙ্গতি ミ○