পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদার্থই কলা বিভাগের উপদ্রব—যথার্থ কলাবৎ তাকে তার মোটা অঙ্কের মূল্য সত্ত্বেও তুচ্ছ করেন । অতএব আলাপের কথা যদি বলে। তবে আমি বলব, আলাপের পদ্ধতি নিয়ে কেউবা রূপ সৃষ্টি করতেও পারেন কিন্তু রূপের পঞ্চতৃসাধন করাই অধিকাংশ বলবানের অভ্যাসগত। কারণ, জগতে কলাবৎ “কোটিকে গুটিক মেলে,” বলবতের প্রাদুর্ভাব অপরিমিত । বহুসংখ্যক ফুল নিয়ে তোড়া বাধাও যায় আর তা নিয়ে দশ পোনেরোটা ঝুড়ি বোঝাই করাও চলে। তোড়া বাধতে গেলে তাব সাজাই বাছাই আছে, বাদ দিতে হয় তার বিস্তর। তোড়ার খাতিরে ফুল বাদ দিতে গেলে যারা ই ই৷ করে ওঠে ভগবানের কাছে তাদের পবিত্ৰাণ প্রার্থনা কবি । অতএব, আলাপের দরাজ পথ বেয়ে কোন গায়ক সঙ্গীতের প্রতি কী রকম ব্যবহার করলেন সেই ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত নিয়েই বিচার চলে। আলাপ সম্বন্ধে আর্টের আদর্শে বিচার কবা কঠিন ; তার কারণ, দৌড়তে দৌড়তে বিচার করতে হয়, ক্ষণে ক্ষণে তাতে যে রস পাওয়া যায় সেইটে নিয়ে তারিফ করা চলে কিন্তু সমগ্রকে সুনির্দিষ্ট করে দেখব কী ○ マ সুব ও সঙ্গতি