পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাওয়ার বদলে অর্জন করাই যদি মানুষের স্বভাবের দায়িত্ব হয়, তবে ব্যাপারটা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় নিশ্চয় । কিন্তু অন্যদিক থেকে আবার ঘোরাল হয়ে ওঠে। ঐ ভাবে দেখলে কোনো পরিশীলনেরই নিজের রূপ থাকে না, থাকে নব্য-সংস্কৃতি-রচনার গুরুভার, আবার সে-গুরুভার পড়ে গিয়ে যে-ব্যক্তি পুরুষ হতে চায় তারই স্কন্ধে। সংস্কৃতির স্বাধীন নিঃসম্পত্ত সত্তা রইল কোথায় ? কেবল কি তাই ? সংস্কৃতিকে কেবল গতি কিংবা বিবৰ্ত্তন ভাবলে তার বিবৃতি কিংবা ইতিহাস লেখা ছাড়া আর কিছুই লেখা চলে না। অর্থাৎ, সে-সম্বন্ধে কোনো সুধীজন-অন্তমোদিত সিদ্ধান্তে পৌছান যায় না। আমারই ওপর যখন সংস্কৃতিকে গ্রহণ করবার ভাব ও তাকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়বার দায়িত্ব পড়ল, তখন অন্তে সেভার গ্রহণ করবে কেন ? অন্যের ওপর চাপাতে আমি যাবই বা কেন ? অতএব, তার সামাজিক শক্তি রইল না, এক কথায়, তার বৈশিষ্ট থাকল না, «[foot Coqā history of adaptation and adjustment, active or passive—so কি ? যদি কেউ ঐ বিবরণীতে কোনো রীতিনীতির q o সুব ও সঙ্গতি