পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহোলে এ নিয়ে গৌরব করতে পারব না। কেননা গান সম্বন্ধে যে দরিদ্র, এই অবস্থাতেই চিরবর্তমান, তাকেই বলব—“পরান্নভোজী পরাবসথশায়ী” । তার চেয়ে নিজের শাকভাত এবং কুঁড়েঘরও শ্রেয়। বাংলাদেশে কীৰ্ত্তন গানের উৎপত্তির আদিতে আছে একটি অত্যন্ত সত্যমূলক গভীর এবং দূরব্যাপী হৃদয়াবেগ। এই সত্যকার উদাম বেদন হিন্দুস্থানী গানের পিঞ্জরের মধ্যে বন্ধন স্বীকার করতে পারলে না, সে বন্ধন হোক না সোনার, বাদশাহী হাটে তার দাম যত উচুই হোক। অথচ হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের রাগরাগিণীর উপাদান সে বর্জন করেনি। সেসমস্ত নিয়েই সে আপন নূতন সঙ্গীতলোক সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টি করতে হোলে চিত্তেব বেগ এমনিই প্রবলকাপে সত্য হওয়া চাই । (> প্রত্যেক যুগের মধ্যেই এই কান্নাট আছে, “স্মৃষ্টি চাই”। অন্যযুগের সৃষ্টিহীন প্রসাদভোগী হয়ে থাকার লজ্জা থেকে যে তাকে রক্ষা করবে তাকে সে আহবান করছে । আধুনিক বাংলাদেশে গানসৃষ্টির উদ্যম সঙ্গীতকে কোনো অসামান্ত উৎকর্ষের দিকে নিয়ে গেছে সুর ও সঙ্গতি b ○