পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুলোচনা কাব্য।

বিষয়ে প্রফুল্লচিত্তে কালাতিপাত করিত। মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, চৌর্য্য কি দস্যুবৃত্তি, কি পরপীড়ন, এ সকল নাম মাত্র ছিল কার্য্যতঃ কিছুই দৃষ্ট হইত না; তাহারা ঐ সকল কথা অলীক উপন্যাসের ন্যায় জ্ঞান করিত। বীরজিৎসিংহের ভুজবলে, তৎকালে কোন প্রকার অত্যাচারই অধিকার মধ্যে হইবার সম্ভাবনা ছিলনা।

 কুলক্রমাগত শৌর্যবীর্য্যের কিছুমাত্র ক্রটি ছিল না, পারিপার্শ্বিক রাজন্যবর্গ, তদীয় অপ্রতিহত প্রতাপে নতশির ছিলেন; কেহই তাহার বিপক্ষে মস্তকোত্তলন করিতে সাহসী ছিলেন না। বীরজিৎসিংহের অনন্য সাধারণ ভুজবল সত্ত্বেও পরস্বাপহারক অর্থগৃধ্নু নরপতিদিগের ন্যায়, পরস্বলোভে লোলুপ ছিলেন না। তিনি শরণাপন্নকে আশ্রয় দান, বিপন্নের বিপদোদ্ধার, দীন দরিদ্রের প্রতি বদান্য ও নিরাশ্রয় অনাথদিগের সর্ব্বাচ্ছাদক ছিলেন। মহীপতির সুমতীনাম্নী মহিষী ছিলেন; ইঁহাকে লক্ষী বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সুমতীর স্বভাবসিদ্ধ সদ্গুণে নরপতি এরূপ বাধ্য হইয়া ছিলেন যে, সাক্ষাৎ বিদ্যাধরী তুল্য রূপলাবণ্যবতী, কোন কামিনীর হাবভাব লাবণ্য সন্দর্শনেও তদীয় মন তাহাতে