পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
সুলোচনা কাব্য।

কুমারী সর্ব্বাংশে আপনকার যোগ্যপাত্রী, কি রূপলাবণ্য, কি আঙ্গিক লক্ষণ, কোন অংশেই নৃপাসনের অননুরূপ নহেন; ইঁহার সকলই শুভলক্ষণ। এমন কি ভাগ্য পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, ইনি কস্মিন্‌কালেও দুঃখভাগিনী হইবেন না। ইঁহার ভাগ্যলক্ষ্মীতে আকৃষ্ট হইয়া মহারাজের রাজলক্ষ্মী চিরস্থায়িনী হইবেন; অতএব আমাদের বিবেচনায়, মহারাজের সম্মত হইলে এই কন্যার পাণিগ্রহণ করাই সর্ব্বতোভাবে কর্ত্তব্য।

 ভূপতির অনুমত্যানুসারে পরিণয়দিনাবধারণ হইয়া অচিরাৎ উদ্বাহক্রিয়া সুসম্পন্ন হইল। বীরজিৎসিংহ পূর্ব্বমহিষীশোক একেবারে বিস্মৃত হইয়া অল্পকালের মধ্যে নবপ্রণয়িনীর প্রণয়পাশে দৃঢ়তর আবদ্ধ হইয়া উঠিলেন। ক্রমে রাজার এরূপ অবস্থা ঘটিল যে, একবার মাত্র রাজসভায় পদার্পণ করিয়া ও ক্ষণিক বিরহযাতনায় ব্যাকুলচিত্ত হইয়া, একান্ত ব্যস্ততার সহিত যে কিছু অত্যাবশ্যকীয় কার্য্য, তাহারই অবস্থা বিবেচনায় নিষেধ ও বিধির ব্যবস্থা করিয়াই পুনর্ব্বার অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতেন। কোনদিন বা তাহাও সম্পন্ন হইয়া উঠিত না, এক এক দিন এমন ঘটিত যে, কার্য্যগতিকে