পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
২৩

কালবিলম্বের সম্ভাবনা থাকিলে, মুখভঙ্গীতে বিরক্তিভাব প্রকাশ পাইত। এইরূপে নববধূর প্রণয়ে ও কুমারদ্বয়ের স্নেহে, বীরজিৎসিংহ অপার সুখের এবং অতুল ঐশ্বর্য্যের অদ্বিতীয় অধীশ্বর হইয়া সতত সানন্দচিত্তে কালাতিপাত করিতে লাগিলেন। কি সাংসারিক, কি বৈষয়িক কোন বিষয়ে তাঁহার আর কোন প্রকার অসুখ রহিল না। নব মহিষীর যৌবনকাল অতীত হইল তথাপি সন্তান সন্ততি হইবার কোন লক্ষণ লক্ষিত হইল না, তদ্দৃষ্টে পুরোস্ত্রীবর্গের মধ্যে ঐ কথার আন্দোলন আরম্ভ হওয়াতে, কর্ণপরম্পরায় রাণীর কর্ণগোচর হইল, তাহাতে রাজমহিষী মনে মনে ক্ষুণ্ণ ও নিতান্ত বিষণ্ণ হইয়া উঠিলেন। সেই অবধি রাজমহিষী আর কেশবিন্যাস করিয়া কবরী বন্ধন করিতে চাহেন না, অপরাহ্নে আর গাত্রে গন্ধদ্রব্য লেপন করেন না, আভরণাদি দ্বারা আর অঙ্গের সৌষ্টব সাধন করেন না পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিচিত্র বসন আর পরিধান করেন না, মহারাজের সহিত আর পূর্ব্বের ন্যায় কৌতুক রসে মগ্ন থাকেন না। নরপতি নবপ্রণয়িনীর পূর্ব্বভাবের বৈষম্য দৃষ্টে মনে মনে শঙ্কিত হইয়া নানা বিষয়ের আন্দোলন করিতে লাগিলেন, পুরস্ত্রীদিগকে মহিষীর মান-