তোমাদের অমতে কখন কোন কার্য্য করিয়া থাকি না করিব। তবে কি জান, কোন কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবার পূর্ব্বে একবার বিশেষরূপে বিবেচনা ও আত্মীয় স্বজনের সহিত পরামর্শ করিয়া কর্ম্ম করা কর্ত্তব্য। রেবতী কহিল, তবে এখন আর কি; শ্বেত ও বসন্তের উচ্ছেদসাধনে তৎপর হও, নচেৎ ভদ্রস্থতা নাই।
লাবণ্যময়ী একেত মহারাজের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী, আদরপেয়ে একেবারে মস্তকে চড়িয়া বসেছেন, সর্ব্বদাই কেবল আত্মগরিমায় প্রমত্ত ও সৌভাগ্যগর্ব্বে গর্ব্বিত; অহঙ্কারে পৃথিবীকে যেন একেবারে সরা খানার ন্যায় জ্ঞান করেন; তাহাতে আবার পরিচারিকাগণের উদ্দীপক বচন পরম্পরা, একেত স্ত্রীজাতির মন সহজে অসূয়াপরবশ, তাহাতে যদি কোন প্রকার দোসর যুটিয়া উঠে, তবে কি আর রক্ষা থাকে? ঐ যে রেবতী কহিয়াছে শ্বেতের স্ত্রী রাজমহিষী হইবে, তুমি তাহার অধীন হইবে, এমন কি দাসীর ন্যায় হইয়া থাকিতে হইবে; আমরা কি দাসীর দাসী হইব? তাহা কদাচ হইবে না। এই কথাতে লাবণ্যময়ীর চিরসঞ্চিত ঈর্ষ্যানল প্রবলবেগে প্রজ্বলিত হইয়া উঠিল। যেমন বিবরস্থিত কুণ্ড-