পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
সুলোচনা কাব্য।

লিত ফণী অকস্মাৎ অঙ্গস্পর্শে একবারে ফণা উত্তোলিত ও ফোঁস ফোঁস শব্দে গর্জ্জন করিয়া উঠে, রাণী তদ্রূপ শ্বেত ও বসন্তের প্রতি একবারে খড়্গহস্ত হইয়া উঠিলেন। ক্রোধে সর্ব্ব শরীর কাঁপিতে লাগিল, তখন তাঁহার সেই ভাব দেখিয়া অন্যান্য লোকে এই মনে করিয়াছিল, বুঝি তিনি শ্বেত ও বসন্ত কর্ত্তৃক তিরস্কৃত ও অবমানিত হইয়াছেন। মধ্যে মধ্যে রাজমহিষীর মুখ হইতে এই কথা বিনির্গত হইতে লাগিল, “কিঃ!! আমি শ্বেতের স্ত্রীর দাসী হইয়া নিতান্ত অনার্য্যের মত জীবন ধারণ করিব? ইহা কখনই হইবে না"। যাহা হয় অবিলম্বে একটা উপায় উদ্ভাবন করিতে হইবে। শ্বেত ও বসন্তের প্রতি যে, রাণীর স্বপুত্ত্রনির্বিশেষে স্নেহ, দয়া ও মমতা ছিল, তাহা এককালে অন্তর হইতে অন্তর্হিত হইল। অধুনা কিরূপে তাহারা দেশত্যাগ অথবা জীবনত্যাগ করে সর্ব্বদা কেবল তচ্চিন্তাতেই কাল অতিবাহিত হইতে লাগিল। লাবণ্যময়ী, আশু অভীষ্ট সাধনের কোন উপায় দেখিতে না পাইয়া, তরঙ্গিনীকে উপস্থিত ব্যাপারের উত্তরসাধিকা জানিয়া কহিলেন, তরঙ্গিনি। যদি তুমি আমাকে বিষলাড্‌ডু প্রস্তুত করিয়া দিতে পার,