পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
সুলোচনা কাব্য।

আমার সন্তান হইল না, তজ্জন্য আর আমি আক্ষেপ করিব না, শ্বেত ও বসন্তই আমার অপত্যাভাব দুঃখের অবসান করিবে। লোকে পোষ্যপুত্ত্র গ্রহণ পূর্ব্বক অপুত্ত্রক দুঃখ দূরীকরণ করে; আমি সপত্নী সন্তান দ্বারা কি তাহা নিবারণ করিতে পারিব না? অবশ্যই পারিব। উহারা ত আমার পর নয়, নিজসন্তান বলিলেই হয়; যাহারা কেবল বিদ্বেষবুদ্ধির বশবর্ত্তী, তাহারা সপত্নীসন্তান সহ অসদ্ব্যবহারে প্রবৃত্ত হইয়া নানাপ্রকার অনর্থোৎপাদন করে। আমি মনে করিয়াছিলাম সস্নেহ সাধুব্যবহার দ্বারা উহাদিগকে বশতাপন্ন রাখিয়া অন্যের মন হইতে সেই ভ্রমান্ধকার বিদূরিত করিব ও চিরবদ্ধমূল বিদ্বেষ অন্তর্হিত করিব। কিন্তু বিধাতার কেমন বিড়ম্বনা, সে আশা পূর্ণ করিতে পারিলাম না। আমি যত যত্ন করি ও আত্মা শ্রদ্ধা করি, কিছুতেই উহারা আমার বশতা স্বীকার করিতে চায়না। সর্ব্বদাই কেবল আমাকে মনঃপীড়া দেয় ও আমার অনিষ্ট চেষ্টা করে। মহারাজ! এ অভাগীর দুঃখের কথা আর কত শুনিবেন বলুন।

 বীরজিৎসিংহ, লাবণ্যময়ীর প্রমুখাৎ এই সকল আভ্য-