পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অঙ্ক।
৪৭

ন্তরিক বৃত্তান্ত অবগত হইয়া, কিছুকাল নিবিষ্টচিত্তে চিন্তা করিয়া আর কোন উপায় না দেখিয়া অবশেষে মহিষীকে কহিলেন, প্রিয়ে! যতদিন পর্য্যন্ত উহারা বয়োধিক ও জ্ঞান প্রাপ্ত না হইতেছে ততদিন উহাদিগের আচার ব্যবহারের সদসৎ বিচার করা ও বিচার করিয়া দোষী স্বাব্যস্ত করা বিধিসঙ্গত কার্য্য নহে। এক্ষণে বালক বলিয়া উপেক্ষা করাই কর্ত্তব্য। যদি নিজ গর্ভজাত সন্তান হইত, তবে কি বালক বলিয়া উপেক্ষিত না হইয়া অশ্রদ্ধার পাত্র হইত, তাহা কখনই হইত না। মহারাজ এবম্বিধ নানাপ্রকার সান্ত্বনা বাক্যে রাণীকে প্রবোধ দিলেন; লাবণ্যময়ীও যেন মহীপতির কথায় বিকলান্তঃকরণের স্থৈর্য্য সম্পাদন করিলেন, এইরূপ ভাণ করিয়া রহিলেন। বীরজিৎসিংহ, মহিষীর তৎকালের অবস্থা দৃষ্টে মনে মনে স্থির করিলেন যে, যদি আর কোন প্রকার আকস্মিক উৎপাত উপস্থিত না হয় তবে আর অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটিবার আশঙ্কা থাকিল না। এবারে রাজ্ঞীর মনঃস্থির হইয়াছে তাহাতে আর সংশয় নাই। শ্বেত ও বসন্ত অতি বুদ্ধিমান ও সুচতুর এবং শান্তশিষ্ট বটে; তবে যদি বলি স্বভাববশতঃ কোন অন্যায় কার্য্য